মারা গেছেন জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অবসরপ্রাপ্ত) আবদুল মালিক। আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অধ্যাপক মালিকের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। তিনি এই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন।
অধ্যাপক আবদুল মালিকের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের অতিরিক্ত পরিচালক (জনসংযোগ) শাহাজাদী সুলতানা বলেন, বার্ধক্যের কারণে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবদুল মালিক মারা যান। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর।
আবদুল মালিক ২০০৪ সালে স্বাধীনতা পদক পেয়েছিলেন। ২০০৬ সালে সরকার তাঁকে জাতীয় অধ্যাপক মনোনীত করে।
মৃত্যুকালে অধ্যাপক মালিক স্ত্রী, এক মেয়ে, দুই ছেলে, জামাতা, ছেলের বউ, নাতি- নাতনি, প্রোপৌত্রসহ অসংখ্য ছাত্র ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। আবদুল মালিকের স্ত্রী আশরাফুন্নেসা খাতুন। তাঁর মেয়ে ডা. ফজিলাতুন্নেছা মালিক ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের কার্ডিলজি বিভাগের প্রধান।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অধ্যাপক মালিকের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বাদ জোহর জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউটে। দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বাদ আসর শ্যামলীর এসওএস মসজিদে। তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বাদ মাগরিব মিরপুর-২–এর ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে। সিলেটের পশ্চিম নোয়াগাঁওয়ে পারিবারিক কবরস্থানে আগামীকাল বুধবার তাঁর দাফন সম্পন্ন হবে।
ব্রিগেডিয়ার (অব.) আবদুল মালিকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এক শোকবার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, ‘ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে অধ্যাপক মালিক হাজার হাজার হৃদ্রোগীর জীবন বাঁচাতে সাহায্য করেছেন। আওয়ামী লীগ সরকার এ প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে সব সময়ই আন্তরিক থেকেছে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত এই হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞের অবদান দেশের চিকিৎসাক্ষেত্রে স্মরণীয় হয়ে থাকবে’।