আজ সোমবার রাজধানীর গুলশানের একটি মিলনায়তনে স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভা ও ইফতার অনুষ্ঠানে এক লিখিত বক্তব্যে রওশন এরশাদ এসব কথা বলেন।
নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে মাঠপর্যায়ে দলকে সংগঠিত করার আহ্বান জানিয়ে রওশন এরশাদ বলেন, এখন থেকেই সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিজ নিজ আসনে গণসংযোগ শুরু করতে হবে। দলীয় নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে জটিলতার সৃষ্টি হলে পার্টি সংস্কার করতে দ্রুত কাউন্সিল শেষ করতে হবে। সে জন্য জেলা পর্যায়ের নেতৃত্ব এখনই ঠিক করতে হবে।রওশন এরশাদ বলেন, জাতীয় পার্টিতে কোনো বিভেদ নেই। এরশাদের রেখে যাওয়া নির্দেশনামতো পার্টি চলবে। যাঁরা তাঁর নির্দেশনা মানবেন না, তাঁরা পার্টি ও নিজের ক্ষতি ডেকে আনবেন। নতুন–পুরোনো, নবীন–প্রবীণসহ ত্যাগী নেতা-কর্মীদের একসঙ্গে নিয়েই দলের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করলে দল শক্তিশালী হবে।রওশন এরশাদ বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর চেষ্টায় উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী পবিত্র রমজানের সিয়াম সাধনাকে তোয়াক্কা না করে সব নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি করে চলছেন। দ্রব্যমূল্যের ভয়াবহ ঊর্ধ্বগতি নিম্ন আয়ের মানুষের জীবন–জীবিকা দুর্বিষহ করে তুলছে। তাঁদের জন্য দেশের গণতন্ত্র, স্থিতিশীলতা আর উন্নয়নের উজ্জ্বলতা ম্লান হয়ে পড়ছে। এতে করে স্বাধীনতাযুদ্ধে আত্মাহুতি দানকারী শহীদদের আত্মা কষ্ট পাচ্ছে। সর্বগ্রাসী দুর্নীতি এখন ক্যানসারের রূপ নিয়েছে।’