নিউজ ডেস্কঃ বাংলাদেশে রোহিঙ্গা নারীদের চিকিৎসা সেবার উন্নয়নে এক দশমিক পাঁচ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান দিয়েছে চীন। এই সহায়তায় ১২ থেকে ৫০ বছর বয়সী ৬০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা নারী ও কিশোরী চীন ইন্টারন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট কোঅপারেশন এজেন্সির মাধ্যমে ২০২৫ সাল পর্যন্ত এর সুফল পাবেন।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে চীনের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর।
বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউএনএইচসিআরের প্রতিনিধি সুম্বুল রিজভী বলেন, “চীনের তরফ থেকে এই উদার অনুদান এলো এমন এক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে, যখন চলমান রোহিঙ্গা সংকটটির সপ্তম বছর চলছে।”রোহিঙ্গা নারী ও কিশোরীরা প্রতি বছর দু'টি করে হাইজিন কিট পাচ্ছে। চীনের সহায়তায় তাদের কাছে আড়াই লাখের বেশি হাইজিন কিট পৌঁছে দেবে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও ইউএনএইচসিআর।
ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, “গুরুত্বপূর্ণ একটি দেশ হিসেবে চীন তার দায়িত্ব পালন করছে এবং বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে সহায়তা দিচ্ছে। আমরা ভবিষ্যতে ইউএনএইচসিআরের আরও কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হওয়ার আশা রাখি। "তিনি আরও বলেন, "তবে এই সংকটের দীর্ঘস্থায়ী সমাধান নিহিত রয়েছে বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে।”
এই হাইজিন কিটগুলো সরবরাহ করতে ইউএনএইচসিআর ও চীন সরকার একসঙ্গে কাজ করবে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চীনের অনুদান নিশ্চিত করবে গোসলের ও কাপড় ধোয়ার সাবান এবং বালতিসহ কিছু সামগ্রী। রোহিঙ্গা ও কক্সবাজারের স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্য থেকে দুই শতাধিক নারী এই হাইজিন কিটগুলোর বাকি জিনিসগুলো তৈরি করবেন। এর মাধ্যমে তাঁরা তাঁদের দক্ষতাকে নিজ জনগোষ্ঠীর কাজে ব্যবহার করতে পারবেন। পাশাপাশি সীমিত পরিসরে জীবিকামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে নিজেদের স্বনির্ভর করার একটি প্রয়াস পাবেন।
সুম্বুল রিজভী আরও বলেন, “শরণার্থী নারী যাঁরা আমাদের সঙ্গে কথা বলেন, তাঁরা এই কিটের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেছেন। তাঁদের কাছে এটি অতি প্রয়োজনীয়। নিজ সমাজের নারীদের মাধ্যমে তৈরি এই সামগ্রীর গুণগত মান নিয়েও তাঁরা সন্তুষ্ট।”
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, নয় লাখ ৬০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী ও চার লাখ ৯৫ হাজার স্থানীয় বাংলাদেশি মিলিয়ে প্রায় ১৫ লাখ মানুষের সহায়তায় চলতি বছরে প্রায় ৮৭৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের আবেদন করেছিল মানবিক সংস্থাগুলো।
২০২৩ সালের ডিসেম্বরের শুরুর সময় পর্যন্ত জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যানটি (যৌথ কর্ম পরিকল্পনা) প্রায় ৫০ শতাংশ তহবিল পেয়েছে।