নিউজ ডেস্কঃ পাবনার ঢালারচর থেকে ছেড়ে আসা চাঁপাইনবাবগঞ্জগামী ঢালারচর এক্সপ্রেসের দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। সোমবার সকাল সোয়া ৭টার দিকে পাবনার আমিনপুর থানার কাশিনাথপুর-বাঁধেরহাট রেলস্টেশনের মাঝে একটি রেল সেতুর কাছে রানীগ্রাম এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এতে হতাহতের কোনো ঘটনা না ঘটলেও অল্পের জন্য বড় ধরনের ক্ষতি থেকে রক্ষা পেয়েছে ট্রেনটি। দুর্ঘটনার পর থেকে ওই রুটের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
ঢালারচর এক্সপ্রেস ট্রেনের পরিচালক হাফিজুল ইসলাম জানান, সোমবার সকালে পাবনার ঢালারচর থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা হয় ঢালারচর এক্সপ্রেস। পাবনার কাশিনাথপুর-বাঁধেরহাটের মাঝামাঝি রানীগ্রামে ট্রেনটি পৌঁছলে হঠাৎ করেই দুটি বগির ৮টি চাকা লাইনচ্যুত হয়। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়।
দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, রেললাইনে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্লিপ নেই। ট্রেন লাইনে উঠলে নড়াচড়া করে। যে কারণে বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। এটি আঞ্চলিক রেলপথ। এই পথে একটিমাত্র ট্রেন চলাচল করে। ট্রেনটি যদি ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশন বা তার আশপাশে লাইনচ্যুত হতো ঢাকার সঙ্গে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যেত। এখন আপাতত পাবনা-ঈশ্বরদীর মধ্যে রেল যোগাযোগ বন্ধ আছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ট্রেনের দুটি বগি রেল সেতুর একেবারে কাছে লাইনচ্যুত হওয়ায় একটি বগি লাইনে এবং একটি বগি সেতুর ওপর কাত হয়ে পড়েছে। এটি সেতু থেকে গভীর নিচে পড়ে গেলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা ছিল।
পাকশী পশ্চিমাঞ্চল বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ বীরবল মণ্ডল বলেন, খবর পেয়ে সকাল পৌনে ৮টার দিকে ঈশ্বরদী দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেনটি উদ্ধার করতে লোকোমোটিভ ডিজেল কারখানা থেকে রিলিফ ট্রেন রওনা হয়েছে। ট্রেনটি উদ্ধার করতে কিছুটা সময় লাগবে।
পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক শাহ সুফি নুর মোহাম্মদ বলেন, এ ঘটনায় পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের সহকারী পরিবহণ কর্মকর্তা হারুন অর রশিদকে আহবায়ক করে ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।