শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার রায় আগামী ১ জানুয়ারি ২০২৪।
বিষয়টি বেনারকে নিশ্চিত করেছেন ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন।
দুই পক্ষের যুক্তি-তর্ক শেষে রোববার মামলার রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেন শ্রম আদালতের বিচারক বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা। সকাল ১১টা থেকে শুরু করে রাত সোয়া আটটা পর্যন্ত এই মামলার যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন করেন ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন। মামলা দায়ের করা কর্তৃপক্ষ কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী।
দুপুরে এক ঘন্টার জন্য বিরতি এবং মাগরিবের নামাজের জন্য ১৫ মিনিটের জন্য আদালতের কাজে বিরতি দেয়া হয়।
ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বেনারকে বলেন, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা দেশের ইতিহাসে নজির সৃষ্টি করেছে। তিনি বলেন, মামলাটি সুপারসনিক গতিতে চলছে।
আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “এই মামলার কোন মেরিট নেই। এটি একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রনোদিত মামলা। কিন্তু তাঁকে অন্যায়ভাবে সাজা দেয়ার চেষ্টা চলছে। ন্যায় বিচার হলে কোনভাবেই এই মামলায় ড. ইউনূসের সাজা হবে না। তিনি নির্দোষ।” অন্যদিকে মো. খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, “উনি শ্রম আইন লঙ্ঘন করেছেন। আমরা এই আইন লঙ্ঘনের জন্য বিচার দাবি করে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছি। আশা করি আমরা ন্যায় বিচার পাব।”
গ্রামীণ গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ টেলিকমের ১০১ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে স্থায়ী না করা, গণছুটির বিপরীতে অর্থ প্রদান না করা, কোম্পানির লভ্যাংশের শতকরা পাঁচ ভাগ শ্রমিকদের মধ্যে বিতরণ না করার অভিযোগে ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে মামলাটি করে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতর।