প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, অফিসার ইনচার্জ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ডেপুটি কমিশনার, পুলিশ সুপারদের বক্তব্যের মাধমে জানতে পেরেছি, নির্বাচনী পরিবেশ এখনো সুষ্ঠু আছে। এই পরিবেশ নির্বাচনের শেষদিন পর্যন্ত ধরে রাখতে হবে এবং ভোট কেন্দ্রে যেন কোন বহিরাগত ব্যক্তি প্রবেশ করতে না পারে সেটি শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনটি যে কোন মূল্যে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করতে হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার আজ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪ উপলক্ষ্যে এলজিইডি এবং পিটিআই মিলনায়তনে যথাক্রমে চট্টগ্রাম জেলার সংসদীয় আসনের প্রার্থীগণ ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিমিময় শেষে তিনি এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ফুটে উঠবে গণমাধ্যমের প্রচারের মধ্য দিয়ে। কারণ মিডিয়া কর্মীরাই ভোট কেন্দ্রের ভিতরে ও বাইরে থেকে সরাসরি তথ্য সংগ্রহ করতে পারবে এবং সেটি তাৎক্ষণিকভাবে জনগণের সামনে তুলে ধরতে পারবে। এর জন্য প্রিজাইডিং অফিসারের অনুমতির প্রয়োজন হবে না। এছাড়ও, নির্বাচন প্রক্রিয়া আরো স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য করতে আমরা এ্যাপস তৈরি করেছি। এর মাধ্যমে ২ ঘন্টা পর পর প্রতি কেন্দ্রের ভোট সংগ্রহের তথ্য আপডেট করা হবে।
চট্টগ্রামে কোন কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে কিনা সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার বলেন, কোন ভোট কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ কিনা, স্থানীয় প্রশাসনকে সে তালিকা ঠিক করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদি প্রয়োজন হয় সে অনুযায়ী তারা অতিরিক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমি প্রার্থীগণের সাথে মতবিনিময় করেছি। এর উদ্দেশ্য ছিল তাদের চাওয়া পাওয়াগুলো সম্পর্কে অবগত হওয়া এবং আমাদের বক্তব্য তাদের কাছে তুলে ধরা। মতবিনিময়কালে তারা কিছু কিছু জায়গায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির কথা বললেও, বেশির ভাগ প্রার্থী আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এবং প্রশাসনের ভূমিকায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। এছাড়াও আমি ৬টি স্টেশন ঘুরে ভোট কারচুপি নিয়ে কিছু অভিযোগ শুনেছি। আমার মনে হয় এটি তাদের ইচ্ছাকৃত অপপ্রচার অথবা ভ্রান্ত ধারণা। যদি প্রত্যেক প্রার্থীর পোলিং এজেন্টরা ভোটের দিন সকালে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সগুলো খালি কি না সেটা নিশ্চিত হয়ে বাক্সগুলো বন্ধ করে এবং সর্বক্ষণ কেন্দ্রে অবস্থান করে নিার্বচন প্রক্রিয়াটি শেষ পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করে, কোন কেন্দ্রে ১০ দিন আগেও যদি ব্যালট পেপার পাঠানো হয় ভোট কারচুপি করার কোন সুযোগ নেই।
এসময় তিনি প্রার্থীদের আশ^স্থ করে বলেন, এরপরও যদি কোন জায়গায় পেশীশক্তি প্রদর্শীত হয়, তাৎক্ষণিকভাবে রির্টানিং অফিসারকে অবগত করবেন। প্রয়োজনে সে কেন্দ্রটিতে ভোট গ্রহণ বন্ধ ঘোষণা করা হবে।