সুদান থেকে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়া হলেও আটকা পড়েছেন যুক্তরাজ্যের কিছু নাগরিক। তাদের মাঝে হতাশা ও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
আজ রোববার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শনিবার অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সফর সংক্ষিপ্ত করে লন্ডনে ফিরেছেন।তবে সুদানে আটকে পড়া যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের সরিয়ে নিতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে সে বিষয়ে এখনও পরিষ্কারভাবে কিছু জানা যায়নি। এ অবস্থায় আটকে পড়া নাগরিকেরা বিমান যোগাযোগ না থাকায় উদ্বেগ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন।
খার্তুম সফররত ইমান আবু গার্গা বলেন, তিনি ও তার দুই সন্তানের নাম নিবন্ধন করেছেন, কিন্তু তারপর থেকে কিছুই হচ্ছে না। তিনি অভিযোগ করেন, 'কোনো সময়সীমা সম্পর্কে আমাদের ধারণা নেই। কী হচ্ছে তাও জানি না। খার্তুম বিমানবন্দর বাদে অন্য কোথাও থেকে আমাদের নেয়া হবে? আমরা কি সড়কপথে যাচ্ছি? এটা হতাশাজনক যে কেউ যোগাযোগ করেনি।'যুক্তরাজ্যের আরেকজন নাগরিক বিবিসিকে বলেন, তার কাছে মনে হচ্ছে তিনি ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক ‘সম্পূর্ণ পরিত্যক্ত’।
সুদানের সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে জানানো হয়, সেনাবাহিনীর প্রধান ফাত্তাহ আল-বুরহান বিদেশিদের সরিয়ে নেওয়ার নিরাপদ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে রাজি হয়েছেন।
যুক্তরাজ্য সরকার বলছে, খার্তুমে থাকা কূটনীতিক ও যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের সহায়তা করতে সম্ভাব্য সব কিছু করাই হচ্ছে।