মাটির রঙে মাটির ঘর

Date: 2023-05-04
news-banner
নিকানো উঠান মাড়িয়ে লাল রঙের সিঁড়ি বেয়ে ওপরের তলায় উঠতে উঠতে মন হারিয়ে যায়। কে বলবে এটা মাটির ঘর! এক গবেষকের ভাষায় এই স্থাপত্য হচ্ছে ‘প্রকৃতির সঙ্গে মিশে যাওয়া শান্তিপ্রিয় সৌন্দর্য।’ বরেন্দ্র অঞ্চলজুড়ে বিশেষ করে নওগাঁ, রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ এলাকায় আছে এ রকম অসংখ্য মাটির বাড়ি।বরেন্দ্র অঞ্চলের মাটি খুঁড়লে স্তরে স্তরে পাওয়া যায় নানা রঙের মাটি। মাটির বাড়ি রং করা হয় সে মাটি দিয়ে। অনেকে এই মাটি বিক্রিকে পেশা হিসেবেও নিয়েছেন। মাটির রঙে রঙিন বাড়ি এই এলাকার ঐতিহ্য। রাজশাহী আর চাঁপাইনবাবগঞ্জেও দেখা যায় কাছাকাছি বৈশিষ্ট্যের বাড়ি।রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের অধ্যাপক শাহরিয়ার হোসেন চারুকলার প্রাক্তন ছাত্র। নিজের অনুসন্ধান থেকে সম্প্রতি নওগাঁর মাটির বাড়ি নিয়ে তিনি একটি বই লিখেছেন। তিনি জানালেন, মাটি আর আবহাওয়ার বৈশিষ্ট্যের কারণে এ অঞ্চলের গ্রামীণ স্থাপত্যের প্রধান উপকরণ মাটি। শক্ত আর আঠালো হওয়ায় এ মাটি দিয়ে একতলা–দোতলা বাড়ি বানানো এখানকার প্রাচীন রীতি। মাটির ঘরে দারুণ আরাম। গ্রীষ্মকালে শীতল, শীতকালে উষ্ণ।বেশির ভাগ মাটির বাড়ির নকশা প্রায় একই রকম। একটি বা দুটি শয্যাঘর, একটি বারান্দা, একটি উঠান। বারান্দায় ঢোকার মুখ সামান্য উঁচু। স্থানীয় লোকেরা একে বলে পিড়্যা (বাইরের বারান্দা)। এলাকা ঘুরে বাড়িগুলোর এসব বৈশিষ্ট্য উপভোগ করা গেল। এসব বাড়ি ধনী-গরিব সবারই আবাস।

নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বজলুর রহমানের মাটির বাড়িটি এখন এলাকার গর্ব ও প্রতীক। বাড়িটিতে কক্ষ মোট ১২টি। বাড়ির সামনে ঐতিহ্যবাহী মাটির গোলাঘর।

image

Leave Your Comments