দেশের পুঁজিবাজারে বহুল আলোচিত ফ্লোর প্রাইস বা শেয়ারদরের সীমা তুলে দেওয়ার পর প্রথম লেনদেনের দিনেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বড় দরপতন হয়েছে।
ডিএসইর ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুসারে, রোববার লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ৯৬ পয়েন্ট কমে ছয় হাজার ২৪০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। গত ছয় মাসে এক দিনে এতো বেশি দরপতন হয়নি।
এদিন পৌনে ৪০০ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। প্রায় ৩০০ কোম্পানিরই শেয়ারদর কমে গেছে, বেড়েছে মাত্র ৫৪টির। আর বাকি কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর অপরিবর্তিত রয়েছে।
শেয়ারবাজারে ক্রমাগত অস্থিরতা ঠেকাতে দেড় বছর আগে নিযন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে।
এর ফলে প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সীমার বাইরে কোনো কোম্পানির শেয়ারদর কমতে বা বাড়তে পারেনি। বেশিরভাগ শেয়ারের দর ফ্লোর প্রাইসে এসে আটকে থাকলেও ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেকেই শেয়ার বিক্রি করতে পারছিলেন না। এই প্রেক্ষাপটে ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওযার দাবি জোরালো হতে থাকে।
গত বৃহস্পতিবার বিএসইসি এক আদেশে সূচকে প্রভাব ফেলে এমন ৩৫টি কোম্পানি ছাড়া বাকি সব শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ওপর থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানায়, যা রোববার থেকে কার্যকর হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ায় কয়েক দিন পুঁজিবাজারে কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। এরপর বাজার তার স্বাভাবিক গতি ফিরে পাবে।
ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এটিএম তারিকুজ্জামান বেনারকে বলেন, “বাজারের এই আচরণ (বড় দরপতন) প্রত্যাশিত ছিলো। ফ্লোর প্রাইস উঠিয়ে দেওয়ার ফলে এখন বাজার স্বাভাবিক গতিতে চলবে।”