আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ইরান ও পাকিস্তান পাল্টাপাল্টি ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলার ঘটনায় সৃষ্ট উত্তেজনা নিরসন ও কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের অংশ হিসেবে নতুন করে পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। সোমবার প্রতিবেশী এ দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া এক যৌথ বিবৃতিতে নতুন পদক্ষেপের কথা জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান আগামী সপ্তাহে পাকিস্তান সফর করবেন। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জলিল আব্বাস জিলানির আমন্ত্রণে ২৯ জানুয়ারি ইসলামাবাদে আসবেন তিনি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, উভয় দেশের রাষ্ট্রদূতদেরও আগামী ২৬ জানুয়ারির মধ্যে স্বপদে ফিরতে বলা হয়েছে।
এর আগে, গত মঙ্গলবার ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে স্থানীয় জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ আল-আদলের ঘাঁটিতে বিমান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। ওই হামলায় বেলুচিস্তানে দুই শিশু নিহত ও আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। ইরান পাকিস্তানি ভূখণ্ডে কেবল ইরানি সন্ত্রাসীদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে বলে দাবি জানায়। ইরানের এই হামলার ঘটনায় পাকিস্তানে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
একদিন পর বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী ইরানের সিস্তান ও বেলুচিস্তান প্রদেশে হামলা চালায়। ইরানি কর্তৃপক্ষ বলেছে, সিস্তান ও বেলুচিস্তানের পাকিস্তানের হামলায় অন্তত ৯ জন নিহত হয়েছেন; যাদের মধ্যে তিনজন নারী ও চারজন শিশু।
পাকিস্তানে ইরানের মঙ্গলবারের হামলার ঘটনায় উভয় দেশের মাঝে কূটনৈতিক সংকটের সূত্রপাত হয়। ইরান থেকে রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করে নেয় পাকিস্তান। একই সঙ্গে প্রতিবেশি এই দেশটির সাথে উচ্চপর্যায়ের সব ধরনের সফর স্থগিত করে ইসলামাবাদ। পাকিস্তানের হামলার পর বৃহস্পতিবার ইরান প্রতিবেশী দেশটির চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সকে তলব করে ‘‘তাৎক্ষণিকভাবে ব্যাখ্যা’’ দাবি করা হয়।
ইরান ও পাকিস্তানের এই ধরনের আন্তঃসীমান্ত হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা গত কয়েক বছরে দেখা যায়নি। ইরান-পাকিস্তানের এই সংঘাতে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে ব্যাপক অস্থিতিশীলতার শঙ্কা তৈরি হয়। তবে উভয় দেশের উচ্চ পর্যায়ের কূটনৈতিক তৎপরতায় এই উত্তেজনা বেশিদূর গড়ায়নি। বরং উভয়পক্ষ কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপন ও উত্তেজনা নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে।
সূত্র: জিও নিউজ