সোমবার (২২ মে) মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় চা দিবস-২০২৩ উদযাপন উপলক্ষ্যে ‘১ম জাতীয় চা পুরস্কার’ প্রদানের লক্ষ্যে যাচাই-বাছাই কমিটির সভায় এ কথা জানান তিনি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তি বলা হয়েছে, আজ সোমবার বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সভাপতিত্বে জাতীয় চা দিবস-২০২৩ পালন উপলক্ষে প্রথম ‘জাতীয় চা পুরস্কার’ দেওয়ার লক্ষ্যে গঠিত যাচাই-বাছাই কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত ওই সভায় এসব কথা জানান মন্ত্রী।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, চা-শিল্পের অগ্রযাত্রা আরও বেগবান ও অনুপ্রাণিত করার লক্ষ্যে জাতীয় চা পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
যে আটটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেওয়া হবে সেগুলো হলো: (১) একরপ্রতি সর্বোচ্চ উৎপাদনকারী চা-বাগান, (২) সর্বোচ্চ গুণগত মানসম্পন্ন চা উৎপাদনকারী বাগান, (৩) শ্রেষ্ঠ চা রপ্তানিকারক, (৪) শ্রেষ্ঠ ক্ষুদ্রায়তন চা উৎপাদনকারী, (৫) শ্রমিক কল্যাণের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ চা-বাগান, (৬) বৈচিত্র্যপূর্ণ চা-পণ্য বাজারজাতকরণের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান/কোম্পানি, (৭) দৃষ্টিনন্দন ও মানসম্পন্ন চা মোড়কের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ চা-প্রতিষ্ঠান/কোম্পানি ও (৮) শ্রেষ্ঠ চা-পাতা চয়নকারী (ব্যক্তি/শ্রমিক)।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৪ জুন ১৯৫৭ সালে বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রথম বাঙালি চেয়ারম্যান হন। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে দেশের চা-শিল্পের উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখেন। চা-শিল্পে জাতির পিতার অবদান অবিস্মরণীয় করে রাখতে প্রতিবছর ৪ জুন জাতীয় চা দিবস পালন করা হয়।
মন্ত্রী টিপু মুনশি আরও বলেন, দেশের চা-শিল্পের অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ চা বোর্ড এবং এর অংশীজন হিসেবে চা-বাগানমালিক, চা উৎপাদনকারী, প্যাকেজিং বিপণন কোম্পানিসহ চা-শিল্পে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সংগঠন তাদের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখছে। এসব প্রতিষ্ঠান, সংগঠন ও ব্যক্তির অবদানের স্বীকৃতি দিতেই জাতীয় চা পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের ফলে চা-শিল্প টেকসই ও মজবুত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েছে। গুণগত মানের চা উৎপাদন বৃদ্ধি ও জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রযুক্তি উদ্ভাবনে আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা কার্যক্রম জোরদারে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
চায়ের বহুমুখী ব্যবহার বৃদ্ধি, বিপণন প্রক্রিয়ার আধুনিকায়ন ও সর্বোপরি অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশি চায়ের নতুন বাজার সৃষ্টির প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, বাংলাদেশ চা বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে চা-বাগানমালিক, শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এ বছর জাতীয় চা দিবসের অনুষ্ঠান পালন করা হবে। অনুষ্ঠানে ‘জাতীয় চা পুরস্কার’ বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।