২০২২ সালের শেষ তিন মাসে দেশটির অর্থনীতি কোনোভাবে মন্দা এড়াতে পেরেছে। কিন্তু অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি হয়নি। অর্থাৎ সংকোচন ও মন্দা এড়াতে পারলেও শেষমেশ খাদের কিনারায় গিয়ে ঝুলে আছে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি।
যুক্তরাজ্যের অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকসের (ওএনএস) তথ্যানুসারে, গত বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে যুক্তরাজ্যের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি প্রবৃদ্ধির ছিল শূন্য। এর আগে তৃতীয় প্রান্তিকে দেশটির সংকোচন হয় শূন্য দশমিক ২ শতাংশ। সেই তুলনায় চতুর্থ প্রান্তিকে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। সাধারণত, পরপর দুই প্রান্তিকে অর্থনীতি সংকুচিত হলে মন্দা শুরু হয়েছে বলা হয়।
যুক্তরাজ্যের অর্থমন্ত্রী জেরেমি হান্ট বলেছেন, মন্দার মুখে না পড়লেও এখনো ঝুঁকিমুক্ত নয় দেশ।গত বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) সামগ্রিকভাবে জিডিপি প্রবৃদ্ধি না হলেও ডিসেম্বর মাসে তা ছিল ঋণাত্মক-মাইনাস শূন্য দশমিক ৫। ফলে স্বস্তিতে নেই দেশটির সরকার ও রাজস্ব বিভাগ।
চ্যান্সেলর জেরমি হান্ট বলেছেন, মূল্যস্ফীতি এখনো বড় সমস্যা, দেশের লাখ লাখ পরিবার ভোগান্তির মুখে পড়েছে।যুক্তরাজ্যে এখনো মূল্যস্ফীতির হার অনেক বেশি। তবে সম্প্রতি খুব ধীরগতিতে তা কমতে শুরু করেছে। বর্তমানে মূল্যস্ফীতির হার ১০ দশমিক ৫, যা ৪০ বছরের মধ্যে প্রায় সর্বোচ্চ। এর আগে গত অক্টোবরে ৪১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতির মুখে পড়ে যুক্তরাজ্য। ওই সময় মূল্যস্ফীতি ১১ দশমিক ১ শতাংশে ওঠে। ফলে দফায় দফায় নীতি সুদহার বাড়াতে বাধ্য হয়েছিল ব্যাংক অব ইংল্যান্ড। এ বছর আরও কয়েকবার নীতি সুদহার বাড়ানো হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অন্তত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ যত দিন নীতি সুদহার বাড়াবে, তারাও বাড়াবে।
এ ছাড়া ব্যাংক অব ইংল্যান্ড আশঙ্কা করছে, চলতি বছর মন্দার মুখে পড়তে পারে যুক্তরাজ্য। গত সপ্তাহে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড জানায়, চলতি বছরের প্রথম ত্রৈমাসিক থেকেই মন্দায় পড়বে যুক্তরাজ্য, যা শেষ প্রান্তিক পর্যন্ত থাকবে। তবে এর ব্যাপ্তি ও নেতিবাচক প্রভাব কিছুটা কমবে।