চলতি বছর বিলম্বে আসছে বর্ষা। পহেলা জুনের আগে-পরে বর্ষারোহী মৌসুমি বায়ুমালা টেকনাফ দিয়ে দেশে প্রবেশের স্বাভাবিক নিয়ম থাকলেও এবার ব্যত্যয় ঘটছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। সাইক্লোন মোখা স্থলভাগ অতিক্রমের পর আবহাওয়ার স্বাভাবিক পরিবেশ তছনছ হয়ে গেছে। আবহাওয়াগত পরিস্থিতি অনুকূল হতে সময় লাগছে। সেই সঙ্গে পশ্চিমা লঘুচাপ শক্তিশালী হওয়ার কারণে বর্ষা মৌসুমের গতি শ্লথ হয়ে পড়েছে। এর সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবও আছে। মূলত ভারতের কেরালায় বর্ষা মৌসুমের অগ্রভাগ প্রথম পৌঁছার পর তা ধীরে ধীরে বাংলাদেশের টেকনাফ-কক্সবাজার হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। ভারতের আবহাওয়া দপ্তর আইএমডি জানিয়েছে, কেরালায় বর্ষা আসছে ৪ জুনের পর। কিন্তু কেরালায় বর্ষা আসার নির্ধারিত সময় আজ ১ জুন। অর্থাৎ কেরালায় বর্ষা চার দিন পিছিয়ে রয়েছে। আর সেই কারণে বাংলাদেশে বর্ষা আসতে ১৩-১৪ জুন হয়ে যেতে পারে।এদিকে বাংলাদেশের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, চলতি বছর বর্ষা মৌসুমে স্বাভাবিকের তুলনায় অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, এবার বর্ষা মৌসুমে অনেক বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে।আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ ইত্তেফাককে বলেন, বর্ষা বিলম্বে আসার কারণ একটি বড় সাইক্লোন পার হওয়ার পর আবহাওয়া এখানো স্বাভাবিক হয়নি। এটা স্বাভাবিক হতে সময় লাগছে। বর্তমান বিরাজমান আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে পরে টেকনাফ দিয়ে মৌসুমি বায়ু বা বর্ষা মৌসুম প্রবেশ করবে বাংলাদেশে। এটা ক্রমে সারা দেশে বিস্তার লাভ করতে ১৫-২০ দিন সময় লাগবে।বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম ইত্তেফাককে বলেন, আগামী কয়েক দিনে তেমন বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই। এতে তাপমাত্রা আরো বাড়তে পারে। কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি স্পর্শ করতে পারে। জুনের মাঝামাঝি বা এরপর বর্ষার বৃষ্টি হতে পারে।