ইফতেখার উদ্দিন : ২০২৪ সালেই নতুন কালুরঘাট সেতুর কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। সোমবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ৯টায় কালুরঘাট সেতুর সংস্কার কাজ পরিদর্শন শেষে রেলমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
রেলমন্ত্রী বলেন, কালুরঘাট সেতুর ওপর দিয়ে এখন থেকে ১৫ টন ওজনের মিটারগেজ ট্রেন চলাচল করতে পারবে। আগামী ২০ বছর ঝুঁকিমুক্তভাবে ট্রেন চলাচল করতে পারবে। এই ব্রিজটি বাদ দিয়ে আমরা নতুন একটি ব্রিজ করছি। এ এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি নতুন কালুরঘাট সেতু। আগামী বছর এই সেতুর কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু হবে। ডাবল লাইন ডুয়েলগেজ রেললাইনের পাশাপাশি চার লেনের সড়ক থাকবে এতে। সেটি না হওয়া পর্যন্ত যাতে আমরা চলতে পারি সে জন্য এই ব্রিজটি তৈরি করা হচ্ছে।
আগামী ২রা নভেম্বর চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইনের ট্রায়াল রান করা হবে জানিয়ে রেলমন্ত্রী জার নিউজকে বলেন, ২রা নভেম্বর এই সেতুসহ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইনের টেস্ট রান করা হবে। একটি ট্রেন নিয়ে ট্রায়াল রান হবে। প্রধানমন্ত্রী এই রেললাইন ১২ই নভেম্বর উদ্বোধন করবেন। এর পূর্বেই এ রেললাইনটি পরিপূর্ণভাবে প্রস্তুত হয়েছে কিনা সেটা আমরা সরকারিভাবে নিশ্চিত হতে চাই। সে কারণে আমরা ট্রায়াল রানটি করবো। তার পূর্বেই আমরা ব্রিজের সংস্কার কাজ করবো।
রেলমন্ত্রী ইসলাম সুজন বলেন, পাশাপাশি পথচারীদের জন্য আলাদা করে একটি লেন করে দিচ্ছি। ৬ ফুট আলাদা ওয়াকওয়ে করে দেওয়া হচ্ছে। সেটি হতে আরও দুয়েক মাস সময় লাগতে পারে।
পরে রেলমন্ত্রী সড়ক পথে দোহাজারী যান। এরপর নতুন করে নির্মিত দোহাজারী রেলস্টেশন পরিদর্শন করেন। পরে রেলমন্ত্রী মোটর ট্রলিতে করে দোহাজারী থেকে নতুন নির্মিত এই রেলপথ ধরে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন।
রেল মোটর ট্রলিতে করে রেলমন্ত্রী ‘দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ ট্র্যাক নির্মাণ প্রকল্পের অগ্রগতি দেখবেন।
দোহাজারীতেও মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, মানুষ সড়ক পথে এবং বিমানে কক্সবাজার যায়। মানুষের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ছিল ট্রেনে করে কক্সবাজার যাবে। সারাদেশে রেলপথ নিয়ে মানুষের আগ্রহ রয়েছে। কারণ রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা সবসময় সাশ্রয়ী, নিরাপদ এবং আরামদায়ক। এ জন্যই চট্টগ্রাম-কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। কক্সবাজারের যাত্রীরা এর সুফল ভোগ করবে।
১৬ই অক্টোবর ২০২৩