ইফতেখার উদ্দিন : শীতের আগেই বাজারে শীতকালীন সবজি সরবরাহের লক্ষ্যে সীতাকুণ্ডের কৃষকদের মধ্যে সবজি চাষের ধুম পড়েছে। আগাম শাকসবজির বাজার দর বেশি হওয়ায় এখন চারা তৈরি ও জমি পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষকরা।
সীতাকুণ্ড কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় দুইশ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়। বেগুন, মুলা, টমেটো, শিম, বরবটি, শসা, লাউ, কুমড়া, ফুলকপি, বাঁধাকপিসহ বিভিন্ন জাতের প্রায় ৪০ হাজার মেট্রিক টন সবজি চাষ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কৃষকরা মাঠে নেমেছেন। উপজেলার উত্তরে বারৈয়াঢালা, সৈয়দপুর, সীতাকুণ্ড পৌরসভা, মুরাদপুর, বাড়বকুণ্ড ও বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নে ব্যাপক শাকসবজির চাষ হয়। সামপ্রতিক সময়ে সবজি চাষে ভালো লাভ হওয়ায় শীতের আগাম চাষে ঝুঁকে পড়েছেন চাষিরা। আগাম সবজির মধ্যে রয়েছে মুলা, বেগুন, শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, লালশাক, করলা, টমেটো, পালংশাক, পুঁইশাক ইত্যাদি। বারৈয়াঢালা ও সৈয়দপুরের বিভিন্ন গ্রামে দেখা গেছে, চারা তৈরি থেকে শুরু করে আগাম শাকসবজি রোপনে ব্যস্ত চাষিরা। মহালংগা গ্রামের এক কৃষক জানান, যে কোনো সবজি যদি মৌসুমের শুরুতে বাজারে যায়, তবে তার দাম বেশি পাওয়া যায়। ইতোমধ্যে মুলা, লালশাক, করলা, পালংশাক বাজারে আসতে শুরু করেছে। কৃষকরা পর্যাপ্ত দামও পাচ্ছেন।
বাঁশবাড়িয়া থেকে বারৈয়াঢালা পাহাড়ি এলাকায় প্রায় ১০ হাজার কৃষক পরিবার বিভিন্ন জাতের সবজি চাষ করে থাকে। এতে ভালো ফলনও হয়। স্থানীয়ভাবে চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্নস্থানে যাচ্ছে এখানকার সবজি। তবে কৃষি বিভাগের তালিকায় পাহাড়ি এলাকার কৃষকদের নাম নেই। কৃষি বিভাগের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছে। যার কারণে ফসল উৎপাদন করতে গিয়ে তাদের খরচও বেশি পড়ে।
বারৈয়াঢালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জানান, শীতের সবজি চাষে কৃষকরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। এবারও ভাল সবজি ফলন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোহাম্মদ হাবীবুল্লাহ বলেন, গত বছর শীতকালীন সবজির যে লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল, তার চেয়ে অনেক বেশি জমিতে সবজি চাষ হয়েছিল। এবারও লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো হবে।
১৭ই অক্টোবর ২০২৩