জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফেজা স্থানীয় সময় শনিবার বিল্ড পত্রিকাকে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, এটা জরুরি সহায়তা। জার্মানিতে বসবাসরত তুরস্ক ও সিরীয় পরিবার ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে আত্মীয়স্বজনকে তাঁদের কাছে নিয়ে আসতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে তাঁদের কোনো আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মুখোমুখি হতে হবে না।
জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, নিয়মিত প্রক্রিয়ায় এই ভিসা দেওয়া হবে। ভিসা পেতে তুরস্ক ও সিরিয়ার ওই নাগরিকদের কোনো ঝামেলা পোহাতে হবে না। তিন মাস পর্যন্ত ভিসার মেয়াদ থাকবে।৬ ফেব্রুয়ারি ভোররাতে তুরস্ক ও সিরিয়ায় ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। এতে এখন পর্যন্ত দেশ দুটিতে ২৯ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন বহু মানুষ। ভূমিকম্পে ঘরবাড়ি হারিয়ে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ৬০ লাখের বেশি মানুষ।জার্মানিতে ২ লাখ ৯০ হাজার তুর্কি বংশোদ্ভূত ব্যক্তির বসবাস। তাঁদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি ব্যক্তির তুরস্কের নাগরিকত্ব রয়েছে।
ইউরোপের সমৃদ্ধ এই দেশটিতে লাখো সিরিয়ানের বসবাস। ২০১৫-১৬ সালে তৎকালীন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল সিরীয় শরণার্থীদের জন্য সীমান্ত খুলে দেওয়ার পর বর্তমানে ৯ লাখ ২৪ হাজার সিরিয়ান জার্মানিতে বসবাস করছেন। এর আগে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ১ লাখ ১৮ হাজার সিরিয়ান জার্মানিতে বসবাস করতেন।তুরস্ক ও সিরীয়দের ভিসা সুবিধা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলানিনা বেয়ারবকও। গতকাল শনিবার নিজের ভেরিফায়েড টুইটার অ্যাকাউন্টে তিনি লিখেছেন, ‘ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে অনেকেরই মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবাও দরকার তাঁদের। এমন অবস্থায় জার্মানিতে বসবাসরত পরিবারগুলো চাইলে সাময়িকভাবে তাঁদের ক্ষতিগ্রস্ত স্বজনদের এখানে নিয়ে আসতে পারবে। জার্মান সরকারের পক্ষ থেকে আমরা এ বিষয়টি নিশ্চিত করছি।’
আলানিনা বেয়ারবক আরও বলেছেন, উদ্যোগের অংশ হিসেবে ইতিমধ্যে জার্মানির পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি ‘টাস্কফোর্স’ গঠন করেছে।