ড. ইউনূসের প্রতিষ্ঠান জবরদখল বেআইনি: ৩৪ নাগরিক

Date: 2024-02-26
news-banner
শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান জবরদখল করার প্রচেষ্টার প্রতিবাদে বিবৃতি দিয়েছেন দেশের ৩৪ বিশিষ্ট নাগরিক।

রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, এসব  প্রতিষ্ঠান দখলের চেষ্টা বেআইনি, অনৈতিক ও অরুচিকর। ড. ইউনুসের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক সকল উদ্যোগ বন্ধে সরকার ও সংশ্লিষ্ট মহলগুলোর প্রতি আহ্বান জানান তাঁরা।

বিবৃততি বলা হয়, “ড. ইউনূসের প্রতিষ্ঠিত এসব অলাভজনক প্রতিষ্ঠান প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানের সংশোধিত আর্টিকেল অব অ্যাসোসিয়েশন অনুসারে প্রতিষ্ঠানগুলোর চেয়ারম্যান পদে পরিবর্তন আনার এখতিয়ার গ্রামীণ ব্যাংকের নেই বলে ড. ইউনূসের পক্ষ থেকে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। তারপরও এ বিষয়ে কোনো আইনগত দাবি থাকলে তা আদালতের কাছে উপস্থাপন করার উদ্যোগ গ্রামীণ ব্যাংক গ্রহণ করতে পারতো।”

বিবৃতিতে বলা হয়, “ইতোপূর্বে  ব্যাংক হিসাব তলব, তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদের নামে ড. ইউনূসকে সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান হয়রানি করেছে। শ্রম আইন সংক্রান্ত দেওয়ানি অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করে তা অস্বাভাবিক দ্রুততার সঙ্গে নিষ্পত্তির চেষ্টা করা হয়েছে।”
“এর পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে তাঁর বিরুদ্ধে নানা ধরনের প্রচারণা অব্যাহত রয়েছে। এসব ঘটনা থেকে ড. ইউনূসের প্রতিষ্ঠানগুলো দখলের সাম্প্রতিক প্রচেষ্টাগুলোকে পৃথকভাবে দেখার সুযোগ নেই বলে আমরা মনে করি,” বলেন তাঁরা। 

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে ড. ইউনূস অভিযোগ করেন, বর্তমানে সরকার নিযুক্ত ব্যক্তিদের দ্বারা পরিচালিত তাঁর প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংকই তাঁর ১৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আটটির ফটকে জোরপূর্বক তালা লাগিয়েছে।

এর দুইদিন পরে গ্রামীণ ব্যাংকের বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম সাইফুল মজিদ সংবাদ সম্মেলন করে এগুলো গ্রামীণ ব্যাংকের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান  বলে দাবি করেন।
image

Leave Your Comments