ধারাবাহিক আন্দোলনের মুখে পশ্চিমবঙ্গের সন্দেশখালির পলাতক তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শেখ শাহজাহানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে রাজ্য পুলিশের এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার জানিয়েছে, গত রাতে মিনাখাঁ থানার বামনপুকুর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিন বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁর ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরপর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে কলকাতায় সিআইডির সদর দপ্তরে নেওয়া হয়।
বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর অভিযোগ, শাহজাহানকে গ্রেপ্তারে পুলিশ টালবাহানা করেছে। শাহজাহান ও তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন, অবৈধভাবে জমি দখলসহ বিস্তর অভিযোগ রয়েছে।
প্রসঙ্গত, রেশন দুর্নীতির তদন্তে গত ৫ জানুয়ারি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরের (ইডি) সদস্যরা শাহজাহানের বাড়িতে গেলে তার অনুসারীরা আক্রমণ চালায়। এরপর শাহজাহান ৫৫ দিন আত্মগোপনে ছিলেন।
শাহজাহানকে গ্রেপ্তার দাবিতে গ্রামে গ্রামে বিক্ষোভ ও ঝাঁটা মিছিল করেন ভুক্তভোগীরা। দফায় দফায় সংঘর্ষ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। শাহজাহানকে গ্রেপ্তারের পর পরিস্থিতি শান্ত রাখতে সন্দেশখালির ২৩টি জায়গায় আগামী ৩ মার্চ পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করেছে পুলিশ। তৃণমূল কংগ্রেস সন্দেশখালির ঘটনাকে অভিযোগ সাজানো বললেও সমালোচনায় মুখর ছিলেন বিরোধী নেতারা। তাদের অভিযোগ, নারীদের সম্ভ্রম লুট হওয়ার অভিযোগ ওঠা সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনো কথা বলেননি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সন্দেশখালির ঘটনা লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসকে প্রতিকূলতার মুখে ফেলতে পারে। ভারতীয় জনতা পার্টির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগামী সপ্তাহে তিন দিনের প্রচারণায় পশ্চিমবঙ্গে আসছেন।