আজ আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যু ৫ম বার্ষিকী

Date: 2023-10-18
news-banner
ইফতেখার উদ্দিন : ব্যান্ড সংগীতের কিংবদন্তি তারকা আইয়ুব বাচ্চুকে হারানোর পাঁচ বছর। অনেক কষ্ট মনে পুষে ২০১৮ সালের এই দিনে না ফেরার দশে পাড়ি জমান গিটার জাদুকর। তার বিদায়ে কেঁদে উঠেছিলো পুরো দেশ। এখনও তাকে মনে করে অশ্রুসিক্ত হন লাখো ভক্ত।
মাত্র ৬০০ টাকা নিয়ে ১৯৮৩ সালে ঢাকায় এসেছিলেন আইয়ুব বাচ্চু। আর যেদিন ঢাকা থেকে শেষবার চট্টগ্রামের গাড়ি ধরেছিলেন, সেদিন নিয়ে গেছেন ১৬ কোটি মানুষের ‘রক্তগোলাপ’ ভালোবাসা।

‘আগলি বয়েজ’ দিয়ে ব্যান্ড সংগীত শুরু করা আইয়ুব বাচ্চু ২৭ বছরের ক্যারিয়ার শেষ করেছেন ‘এলআরবি’-তে। এর মাঝে ‘ফিলিংস (নগর বাউল)’ ও ‘সোলস’-এর হয়ে গিটার হাতে মঞ্চে উঠেছেন। তারপর ১৯৯১ সালের ৫ এপ্রিল তিনি নিজেই গঠন করেছেন ‘লিটল রিভার ব্যান্ড’, যা পরে ‘লাভ রানস ব্লাইন্ড’ বা ‘এলআরবি’ নামে জনপ্রিয়তা লাভ করে। এর পরের ইতিহাস তাঁর গানের অ্যালবাম ‘আমাদের বিস্ময়’-এর মতো। এলিফ্যান্ট রোডের হোটেলে ঢাকার জীবন শুরু করা চট্টগ্রামের রবিন হয়ে ওঠেন দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিল্পী এবং বিশ্বের অন্যতম সেরা গিটারবাদক।

‘ঘুমন্ত শহরে’ ভক্তদের ভালোবাসার এবি নেই চার বছর, তবে গানের মতো তাকে ‘বারো মাস’ ভালোবেসে স্মরণে রাখছে তার ‘ময়না’ ও ‘রিমঝিম বৃষ্টি’রা।

দেশীয় ব্যান্ড সংগীতের অন্যতম দিকপাল, গিটার জাদুকর, এলআরবির প্রতিষ্ঠাতা আইয়ুব বাচ্চু। রুপালি গিটার ফেলে চলে গেছেন, কিন্তু আজও আইয়ুব বাচ্চু প্রাণবন্ত হয়ে আছেন ভক্তদের হৃদয়ে।

দেশীয় ব্যান্ড সংগীতের এই অগ্রপথিকের  অনন্তলোকে পাড়ি জমানোর দিনটি ১৮ অক্টোবর।  মাত্র ৫৬ বছর বয়সে ২০১৮ সালের ১৮ অক্টোবর হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ব্যান্ড সংগীতের এই উজ্জ্বল নক্ষত্র। দেখতে দেখতে পাঁচ বছর হয়ে গেল আইয়ুব বাচ্চু নেই।  

পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকীর দিনে ভক্ত-অনুরাগীরা আইয়ুব বাচ্চুকে স্মরণ করছেন শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায়। বুধবার (১৮ অক্টোবর) আইয়ুব বাচ্চুর জন্য দোয়া-মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। রাজধানীর মগবাজারের সেলিব্রেশন কমিউনিটি পয়েন্টে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় অনুষ্ঠিত হবে এটি। এর আয়োজন করছে চট্টগ্রাম মিউজিশিয়ানস ক্লাব। এতে সংগীত সমাজের মানুষেরা অংশ নেবেন বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে, তার পরিবারের পক্ষ থেকেও থাকছে কিছু আয়োজন। আইয়ুব বাচ্চুর স্ত্রী ফেরদৌস আইয়ুব চন্দনা বলেন, প্রতি বছর যেমনটা করি, এবারও তাই। তার স্মরণে কোরআন খতম আর সাধ্য অনুযায়ী এতিমদের খাওয়ানোর ব্যবস্থা করছি। মগবাজার এবং মিরপুরের একাধিক এতিমখানায় খাওয়ানো হবে।

image

Leave Your Comments