বাংলাদেশে গত জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে দাবি করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, এই নির্বাচন নিয়ে ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই) ও ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) দেয়া প্রতিবেদনে কিছু যায় আসে না।
রোববার (১৭ মার্চ) ঢাকার বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি কথা বলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এনডিআই-আইআরআই’র প্রতিবেদনে মূলত তারা স্বীকার করে নিয়েছে, দেশে যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে; সেটি দেশে অন্যান্য সময় যে নির্বাচন হয়েছে তার তুলনায় অনেক কম সহিংস হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে এর আগে যে নির্বাচন হয়েছে বা এই উপমহাদেশে যে মানের নির্বাচন হয় সে তুলনায় দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের মান অনেক উন্নত এবং একটি সুন্দর, ভালো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এনডিআই-আইআরআই কী বলল তাতে কিছু আসে যায় না। “বিএনপি যে নির্বাচন প্রতিহত করার ডাক দিয়েছিল, প্রতিহত করার জন্য সহিংসতা করেছে, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে সে বিষয়গুলোও প্রতিবেদনে আসা উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান এনডিআই ও আইআরআই’র বাংলাদেশের গত জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচন পর্যবেক্ষণ বিষয়ে গতকাল দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলেছে, “দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে গুণগত মান রক্ষা করা হয়নি।"
এতে বলা হয়, "জানুয়ারির নির্বাচনের গুণগত মান ক্ষুণ্ন হয়েছে যেসব ঘটনার কারণে তা হলো নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে সহিংসতার মনোভাব, নাগরিক স্বাধীনতার সংকোচন, বাক স্বাধীনতা ও সংগঠিত হওয়ার স্বাধীনতার অবনতি।"
এছাড়া রাষ্ট্র, শাসক দল, এবং বিরোধীদের সহিংসতার বিষটিও এসেছে প্রতিবেদনে।
আইআরআই’র এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভাগের জ্যেষ্ঠ পরিচালক জোহানা কাও বলেন, "নির্বাচনে সহিংসতা নাগরিকদের অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে একটি প্রধান প্রতিবন্ধক। বাংলাদেশের নির্বাচনকে পুরোপুরি অংশগ্রহণমূলক করতে হলে সব পক্ষকে অহিংস রাজনীতিকে প্রাধান্য দিতে হবে।”
সরকার এই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করছে কি না--জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ”তারা প্রতিবেদন দিয়েছে, আমরা প্রতিবেদনটা দেখছি এবং আমরা আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র বা অন্য কেউ যে সব পর্যবেক্ষণ দিচ্ছে সেগুলো আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি।”