আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের হিসাব মেলাতে গিয়ে সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীদের পাশাপাশি ছোটখাটো ব্যবসায়ীরাও হিমশিম খাচ্ছেন। আর মধ্যম ও স্বল্প আয়ের মানুষ বাজার করছেন অনেক কাটছাট করে। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও কিনতে হচ্ছে খুব হিসাব করে। পণ্যের সরবরাহ থাকলেও, দাম কমার লক্ষণ নেই।
বৃষ্টিতে শীতের আগাম সবজি নষ্ট হওয়ার প্রভাব পড়েছে রাজধানীর বাজারে। শীতের সবজি শিমের কেজি ২০০ টাকা, যা এক কেজি ব্রয়লার মুরগির দামের সমান। মূলা ৬০-৭০, টমেটো ও গাজর বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে। প্রতিটি ফুলকপি ও বাঁধাকপির দাম ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ৮০ টাকার নিচে না কোনো লাউ নেই বাজারে। করলা, ধুন্দুল, ঝিঙে, কাঁকরোল, চিচিঙ্গা, কচুর মুখী ও কচুর লতির কেজি ৮০ থেকে ৯০ টাকা। ৭০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে পটোল ও ঢ্যাঁড়স।
বাজারের সবচেয়ে সস্তা সবজি পেঁপের কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, আর মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা। কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২৪০ টাকা কেজিতে। আলুর কেজি ৫০ টাকা। বেগুন এক সপ্তাহে কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। সবজির ঘাটতি না থাকলেও, দাম কমার কোনো লক্ষণ নেই। তাই ছুটির দিনে বাজারে এসে কাটছে না ক্রেতাদের অস্বস্তি।
গত সপ্তাহের তুলনায় প্রতি ডজন ডিম ১৫ থেকে ২০ টাকা বেশিতে বিক্রি হচ্ছে। ফার্মের মুরগির বাদামি ডিমের ডজন ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা। সাদা ডিম কিনলে ডজনে ১০ টাকা কমে পাওয়া যাচ্ছে। ডিমের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে মুরগির দামও। ব্রয়লার মুরগি ২১০ আর সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকা কেজিতে। গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, আর খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায়। রুই, পাঙাশ ও তেলাপিয়ার দামও কমেনি।
দেশি পেঁয়াজ ১০০ টাকা, আর আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে। এছাড়া রসুন ও আদার দামও চড়া। সরকার আলু, দেশি পেঁয়াজ ও ডিমের দাম বেঁধে দিলেও কোনোটিই বিক্রি হচ্ছে না নির্ধারিত দামে। চাল, ডাল, আটা, ময়দা ও সয়াবিন তেলের মতো অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম আগের থেকেই বাড়তি। এসব পণ্যের দাম আর কমেনি।