ইফতেখার উদ্দিন : রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে খালের পানিতে নেমে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে চাচা-ভাতিজার মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার (১৮ অক্টোবর ২০২৩) বেলা আড়াইটার দিকে উপজেলার দৌলতদিয়া নুরু মণ্ডল পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া দুজন হলেন স্থানীয় মাছেম মোল্লার ছেলে মো. নুরু মোল্লা (৭৫) ও তাঁর ভাতিজা মো. শামীম মোল্লা (৩২)। শামীম মোল্লার বাবার নাম মো. আনোয়ার মোল্লা।
স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, এক্সেভেটর দিয়ে গ্রামে মাটি খননের কাজ করার সময় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে খালের পানিতে পড়ে ছিল এতে পুরো খালের পানি বিদ্যুতায়িত হয়ে যায়। বিষয়টি না জেনে দুপুরে খালের পানিতে গোসল করতে নামেন নূরু মোল্লা (৭৫)। তখন তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পড়েন। সেটি দেখে শামিম মোল্লাহ (৩২) তাকে বাঁচাতে আসলে তিনিও বিদ্যুতায়িত হন।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
সরেজমিন জানা যায়, বুধবার দুপুর ১টার দিকে নুরু মোল্লা খেত থেকে পাটকাঠি আনতে বাড়ির পাশে যান। সেখানে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ে থেকে পানি বিদ্যুতায়িত হয়েছিল। নুরু মোল্লা পানিতে পা রাখামাত্রই তার মৃত্যু হয়। চাচাকে পানিতে পড়ে থাকতে দেখে তাকে তুলতে গিয়ে মৃত্যু হয় ভাতিজা শামীম মোল্লার (৩২)।
স্থানীয়রা জানান, গত ৮-১০ দিন ধরে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে এভাবে পানিতে পড়ে রয়েছে।
স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ইকরামুল হাসান বলেন, ছেঁড়া তার দেখে মনে হচ্ছে বেশ কয়েকদিন আগেই ফায়ার করে বিদ্যুতের তার বিচ্ছিন্ন হয়ে পানিতে পড়ে যায়। বিষয়টি বুঝতে না পেরে পানিতে নেমে হতভাগ্য দুই ব্যক্তি মারা যান।
খবর পেয়ে রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) ইফতেখারুজ্জামান ও গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, আমরা তদন্তসাপেক্ষে দেখতে পেলাম বিদ্যুতের তারে বেশ কয়েকটা স্থানে ফায়ার করার চিহ্ন রয়েছে। বেশ কয়েক দিন ধরেই এখানে লাইনের তার ছিঁড়ে পড়ে ছিল। সচেতনতার অভাবে আজ দুটি প্রাণ ঝড়ে গেল। পরিবারের পক্ষ হতে কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই মৃতদেহ দুটি দাফনের জন্য পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
১৯ই অক্টোবর ২০২৩