ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় টানা ১৩ দিন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। উপত্যকাটির শাসকগোষ্ঠী হামাসের রকেট হামলার প্রতিবাদে এমন হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। নির্বিচারে চালানো এই হামলায় প্রাণ হারাচ্ছে বেসামরিক মানুষ। হামাস নির্মূলে চালানো এই হামলায় মানা হচ্ছে না যুদ্ধ সম্পর্কিত কোন নীতিমালা।
অন্যদিকে মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের ঘনিষ্ট মিত্র ইসরায়েলের হামলাকে সমর্থন জানিয়ে সেখানে অস্ত্র সহায়তার পাশাপাশি দুটি বিমানবাহী রণতরীও পাঠিয়েছে ভূমধ্যসাগরে। সেই সঙ্গে হামাসকে জঙ্গি সংগঠন বলতেও পিছুপা হয়নি ওয়াশিংটন। হামাস নির্মূলে গাজায় ভয়াবহ অবরোধ আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমারা। সেখানে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে পানি-জ্বালানি-খাবার সরবরাহ। অবরোধ ও হামলায় সরাসরি ভুক্তভোগী হচ্ছেন গাজায় বসবাসকারী প্রায় ২৩ লাখ নারী-শিশু-বৃদ্ধ।
গাজা সংকটে নিজ দেশের প্রেসিডেন্ট এবং ওয়াশিংটনের নেয়া পদক্ষেপে তীব্র আপত্তি ও ঘৃণা জানিয়ে পদত্যাগ করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক শীর্ষ কর্মকর্তা। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের যে বিভাগটি বিদেশে অস্ত্র পাঠানোর বিষয়ে কাজ করে, পদত্যাগকৃত ওই কর্মকর্তা সেই বিভাগেই কাজ করতেন। বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট।
পদ থেকে সরে দাঁড়ানো ওই কর্মকর্তা বলেন, তেল আবিবকে মার্কিন সামরিক সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি তিনি আর সমর্থন করতে পারবেন না। এছাড়া চলমান গাজা সংঘাতে বাইডেন প্রশাসন যেভাবে এগিয়ে গেছে সেটিকে ‘বুদ্ধিবৃত্তিক দেউলিয়াত্ব’-এর ওপর ভিত্তি করে ‘আবেগপ্রবণ প্রতিক্রিয়া’ বলেও অভিহিত করেছেন তিনি। তিনি বলেন, হামাসকে শাস্তি দিতে সেখানে নেয়া ইসরায়েলি পদক্ষেপে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ গাজাবাসী। যা মানবাধিকার লঙ্ঘন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওই কর্মকর্তার নাম জোশ পল যিনি যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের রাজনৈতিক-সামরিক বিষয়ক ব্যুরোতে কংগ্রেসনাল এবং পাবলিক অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক ছিলেন। পররাষ্ট্র দপ্তরের এই বিভাগটি বিদেশে অস্ত্র স্থানান্তর ও সরবরাহের কাজ পরিচালনা করে থাকে। পরিচালক হিসেবে এক দশকের বেশি সময় কাটিয়েছেন। পররাষ্ট্রনীতির প্রতি আপত্তি জানিয়ে এমন পদত্যাগের ঘটনা খুবই বিরল।