বলিউডের অন্দরের বাসিন্দা হতে চাননি বলিউড ডিভা মাধুরী দীক্ষিত। সম্প্রতি ৫৭ বছরে পা রেখেছেন বলিউডের ইতিহাসের অন্যতম সফল ও জনপ্রিয় অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিত। কিন্তু অবাক করার বিষয় হলো শুরুতে নায়িকা হতে চাননি তিনি। হতে চেয়েছিলেন মাইক্রোবায়োলজিস্ট। নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গেলেও অভিনয় জীবনে পেয়েছেন সফলতা।
সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমে মাধুরী বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, ছোটবেলা থেকেই আমি মাইক্রোবায়োলজিস্ট হতে চেয়েছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করেই অভিনয়ে চলে আসা। তবে এখন মনে হয় আমার জন্য এটা ভালোই হয়েছে। না হয় এত দর্শকের ভালোবাসা পাওয়া সম্ভব ছিল না। কলকাতার প্রয়াত অভিনেতা তাপস পালের বিপরীতে ‘অবোধ’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে মাত্র ১৭ বছর বয়সে বলিউডে পা রাখেন। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।
নিজের অভিনয় ক্যারিয়ারে মাধুরী দীক্ষিত ‘তেজাব’, ‘রাম লক্ষণ’, ‘সাজন’, ‘খলনায়ক’, হাম আপকে হ্যায় কৌন’, ‘দিল তো পাগল হ্যায়’সহ আরও অনেক ব্যবসাসফল ছবি উপহার দিয়েছেন, যা কালজয়ী হয়েছে। তার হাসিতে এখনো মুগ্ধ তরুণ থেকে বৃদ্ধ। কার্গিল যুদ্ধের সময় এক পাকিস্তানি বৃদ্ধ বলেছিলেন, ভারত যদি মাধুরী দীক্ষিতকে দিয়ে দেয়, তাহলে দেশ ছেড়ে চলে যাবো। বৃদ্ধের কথা শুনে বোঝা যায় শুধু বলিউড নয়, বিদেশের মাটিতেও দারুণ জনপ্রিয় ছিলেন এই অভিনেত্রী। তবে বিয়ের পর ডাক্তার স্বামীর সঙ্গে আমেরিকাতেই থিতু হন মাধুরী।
২০১৩ সালের মার্চে স্বামী এবং দুই সন্তানসহ ভারতে ফিরে এসে একটি অনলাইন ড্যান্স একাডেমি চালু করেন মাধুরী।