মোঃ ওমর ফারুক শাওন । প্রতিবেদক – JARNEWS.NET
গতকাল ২০ অক্টোবর শুক্রবার, নগরীর জামালখানস্থ প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে চট্রগ্রাম আর্চডাইয়োসিস (খ্রিষ্ট্রিয় ঐক্য ও আন্তঃধর্মীয় সংলাপ কমিশন) এর আয়োজনে অনুষ্টিত হয় আন্তঃধর্মীয় সংলাপ সম্মিলনী-২০২৩।
সম্মিলনীতে সভাপতিত্ব করেন চট্রগ্রাম কাথলিক আর্চডাইয়োসিসের প্রধান ধর্মগুরু ও সংলাপ কমিশনের চেয়ারম্যান আর্চবিশপ লরেন্স সুব্রত হাওলাদার, সিএসসি। অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ফাউন্ডেশন চট্রগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক বুরহান উদ্দিন মোঃ আবু আহসান। জাতীয় এপিসকলাপ খ্রিষ্ট্রিয় ঐক্য ও আন্তঃধর্মীয় সংলাপ কমিশনের সেক্রেটারি ফাদার প্যাট্রিক গমেজ। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ জাফর উল্লাহ। ইউএসটিসির সাবেক উপচার্য প্রভাত চন্দ্র বড়ুয়া। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. সুকান্ত ভট্টাচার্য্য।
সম্মিলনীর সম্মানিত অতিথি শাহানশাহ্ সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারী ট্রস্টের সচিব অধ্যাপক এ ওয়াই এম জাফর বলেন, গোটা পৃথিবীব্যাপী ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি, সংঘাত, নিজ ধর্মকে বড় করা দৌড়ে অন্য ধর্মের প্রতি অশ্রদ্ধা ইত্যাদি হতে বের হয়ে আসতে আমাদের সাহায্য করবে এই শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান। তাই সকল ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা ও সহাবস্থানের আলোকে উপস্থাপিত ‘বিশ্বাসের অনুশাসনে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান’কে অনুষ্টানের প্রতিপাদ্য বিষয় হিসেবে নির্ধারণ করা অত্যন্ত যুগোপযোগী।
এই অনুষ্ঠানে প্রকাশিত একটি পুস্তিকায় সংলাপ কমিশন ঢাকা কাথলিক আর্চডাইয়োসিস এর সমন্বয়কারী ফাদার রুক কাকন কোড়াইয়া লেখেন “সংলাপ কোন ধর্ম সম্বন্ধে তুলনামূলক পড়াশুনা নয়। আমার ধর্ম সত্য বা অন্য ধর্ম মিথ্যা তা প্রমান করার জন্য সংলাপ নয়। সংলাপ বিভিন্ন খ্রীষ্ট মন্ডলীর মধ্যে মিলন প্রচেষ্টার মতো নয়। ঐক্যমত হয়ে সব ধর্ম মিলে একটা নতুন ধর্ম সৃষ্টি করাও সংলাপের লক্ষ্য নয়। সর্বোপরি, আন্তঃধর্মীয় সংলাপ হচ্ছে অন্য ধর্মের লোকদের সাথে সহযোগিতায় থেকে প্রত্যাশা নিয়ে, অন্যের কথা শোনার জন্য এবং তার ধর্মের বিষয় বোঝার জন্য স্বাধীন ও মুক্ত পরিবেশে অন্য ধর্মের ব্যাক্তিদের সাথে সাক্ষাৎ করা। আন্তঃধর্মীয় সংলাপ একপাক্ষিক নয়, বরং পারস্পরিক আদান-প্রদান, শোনা ও বলা উভয়ই জড়িত। অন্যের কথা শোনার ইচ্ছা সংলাপের অবিচ্ছেদ্য অংশ। অন্যের মনোভাব নিয়ে তার দিকটা বোঝার চেষ্টা করা, বিচার করা নয়।
পরিশেষে বক্তাগন বলেন এই সংলাপ আয়োজনের উদ্দেশ্য হলো, সকল ধর্মাবলম্বীদের কাছে একটি মেসেজ পৌছে দেওয়া ’ধর্মীয় সহাবস্থানের নীতি অনুশীলনের মাধ্যমে সম্প্রীতি ও মিলবন্ধন তৈরি করা’।