আজম খানের ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

Date: 2024-06-05
news-banner
দেশের ব্যান্ড সংগীতের কিংবদন্তি, বীর মুক্তিযোদ্ধা আজম খানের ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১১ সালের এই দিনে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান ‘পপগুরু’ খ্যাত এই সংগীত ব্যক্তিত্ব। প্রতি বছর এই দিনে আজম খানকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন তার পরিবার, বন্ধু-স্বজন, শুভাকাঙক্ষী ভক্ত-শিষ্য সবাই। 

বাংলা ব্যান্ড সংগীতকে দেশের সর্বস্তরের মানুষের কাছে নিয়ে গেছেন আজম খান। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশ নিয়েছিলেন তিনি। সংগীত জগতে তিনি পা রাখেন ষাটের দশকের শেষের দিকে। পাশাপাশি ক্রিকেটার হিসেবেও নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছিলেন।

আজম খানের পুরো নাম মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান। জন্ম ও বেড়ে ওঠা পুরান ঢাকায়। বাবা আফতাব উদ্দিন আহমেদ ও মা জোবেদা খাতুন। তার শৈশবের পাঁচ বছর কাটে আজিমপুর কলোনিতে। তারা ৪ ভাই ও এক বোন ছিলেন। ১৯৫৫ সালে তিনি প্রথমে আজিমপুরের ঢাকেশ্বরী স্কুলে ভর্তি হন। ১৯৫৬ সালে তার বাবা কমলাপুরে বাড়ি করে পরিবার নিয়ে সেখানে ওঠেন।

১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের সময়ে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেন আজম খান। তখন তিনি ক্রান্তি শিল্পী গোষ্ঠীর সক্রিয় সদস্য এবং পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর শোষণের বিরুদ্ধে গণসংগীত প্রচার করেন। ১৯৭১ সালে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। 

আজম খান ১৯৫০ সালের ২৮শে ফেব্রুয়ারি ঢাকার আজিমপুর কলোনির ১০নং সরকারি কোয়ার্টারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮১ সালের ১৪ই জানুয়ারি সাহেদা বেগমের সঙ্গে বিয়ে হয় আজম খানের। সহধর্মিণী মারা যাওয়ার পর থেকে একাকী জীবন কাটান এ কিংবদন্তি। তিনি দুই মেয়ে ও এক ছেলের জনক। 

আজম খানের গাওয়া জনপ্রিয় গানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য- আমি যারে চাইরে, ‘রেললাইনের ওই বস্তিতে, ওরে সালেকা ওরে মালেকা, আলাল ও দুলাল, অ্যাকসিডেন্ট, অনামিকা, অভিমানী, আসি আসি বলে, হাইকোর্টের মাজারে, পাপড়ি, বাধা দিও না, যে মেয়ে চোখে দেখে না ইত্যাদি।

ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ২০১১ সালের ৫ই জুন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান এই পপসম্রাট। 
image

Leave Your Comments