বেনজীরের দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে, শিগগিরই মামলা

Date: 2024-06-13
news-banner
এই মুহূর্তে দেশের যে কয়জন ব্যক্তি আলোচনার শীর্ষে, তার মধ্যে অন্যতম পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ। সম্প্রতি ক্ষমতায় থাকাকালীন অবৈধ উপায়ে অঢেল সম্পত্তির মালিক বনে গেছেন বলে অভিযোগ উঠে বেনজীর ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। তাদের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানে দৌড়ঝাঁপ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ইতোমধ্যে তিন দফায় বেনজীর আহমেদের শত একর জমি ও একাধিক ফ্ল্যাট জব্দ হয়েছে আদালতের নির্দেশে। কিন্তু অবাক করা ব্যাপার, এত সম্পত্তির হদিস মেলার পরও এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি সাবেক এইব আইজিপির বিরুদ্ধে।

তবে এরই মধ্যে বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানানো হয়েছে দুদকের পক্ষ থেকে। সেই সূত্র ধরে তার বিরুদ্ধে মামলাও হতে যাচ্ছে শিগগিরই।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানান, বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে। শিগগিরই মামলা করা হবে। দুদক আইন অনুযায়ী যেগুলোকে অপরাধ ধরা হয় তার সবই করেছেন বেনজীর।

এদিকে সাবেক এই আইজিপি এই মুহূর্তে কোথায় আছেন তা জানেনা সরকার বা প্রশাসনের কেউই।

গত ১৮ এপ্রিল বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধানে নামে দুদক। পরে সংস্থাটির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী ও কন্যাদের নামে থাকা স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক ও ফ্রিজের আদেশ দেন আদালত।

অন্যদিকে, বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের স্থাবর সম্পত্তি দেখভালের জন্য তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগের আদেশ দিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আশ-শামস জগলুল হোসেন। আদেশ অনুযায়ী, সাবেক এ আইজিপির সাভারের সম্পত্তি দেখভাল করবেন সেখানকার ইউএনও এবং গোপালগঞ্জের মাছের খামার দেখভাল করবেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা। এ ছাড়া মাদারীপুর ও কক্সবাজারের সম্পত্তি দেখাশোনা করবেন সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক।
image

Leave Your Comments