প্রায় সব নারীরই আকাঙ্খা চোখের পাপড়ি ঘন হোক। চোখের পাপড়ি বড় হলে চোখ দেখতে আরও বেশি মায়াবী লাগে। কিন্তু অনেকের চোখের পাপড়িই মনের মতো হয় না। তখন ঘন পাপড়ির জন্য নকল আইল্যাশের ওপর আস্থা রাখতে হয়। কখনো বা গাঢ় মাস্কারায় কোট করে চোখ সাজাতে হয়। কিন্তু কিছু ঘরোয়া উপায় আছে যেগুলো মেনে চললে আপনি সহজেই পেতে পারেন ঘন পাপড়ি। সে জন্য যেসব উপাদান প্রয়োজন হবে রয়েছে আপনার ঘরেই। চলুন জেনে নেওয়া যাক চোখের পাপড়ি ঘন করার জন্য কী কী ব্যবহার করা যেতে পারে?
নারিকেল তেল : চোখের পাপড়ি প্রাকৃতিক উপায়ে ঘন করতে চাইলে ব্যবহার করুন নারিকেল তেল। চোখে সব ধরনের তেল ব্যবহার করা যায় না। তবে নারিকেল তেল এ ক্ষেত্রে নিরাপদ। এটি চোখের পাপড়ি ঝরে যাওয়ার সমস্যাও কমায়। আঙুলের ডগায় সামান্য নারিকেল তেল নিয়ে চোখের পাপড়ির গোড়ায় লাগান। এটি আপনি তুলার সাহায্যেও করতে পারেন। প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এভাবে ব্যবহার করুন। এতে দ্রুতই চোখের পাপড়ি ঘন হবে।
ভিটামিন ই অয়েল : ভিটামিন ই অয়েল ব্যবহারে চোখের পাপড়ি ঘন হয়। এই তেল অনেকেই ব্যবহার করে থাকেন।
চোখের পাপড়ির পাশাপাশি মাথার চুল বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে ভিটামিন ই অয়েল। সামান্য তেল নিয়ে নারিকেল তেলের মতো করেই চোখের পাপড়ির গোড়ায় ব্যবহার করুন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এভাবে ব্যবহার করলে কাঙ্খিত ফল পেতে দেরি হবে না। তা হলে ঘন পাপড়ি পেতে ভিটামিন ই অয়েলের ওপর আস্থা রাখতেই পারেন!
শিয়া বাটার : চোখের পাপড়ি ঘন ও বড় করতে সাহায্য করে শিয়া বাটার। এতে রয়েছে ভিটামিন সি। এটি চোখের পাপড়িকে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। আঙুলের ডগায় সামান্য শিয়া বাটার নিয়ে চোখের পাপড়িতে লাগান। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ব্যবহার করবেন এবং সকালে উঠে ধুয়ে ফেলবেন। এতে পাপড়ি ঘন ও সুন্দর হবে।
ক্যাস্টর অয়েল :নতুন চুল গজাতে ক্যাস্টর অয়েলের ব্যবহার বেশ পুরোনো। প্রায় সব বাড়িতেই পাওয়া যাবে এই তেল। এটি চুলের বৃদ্ধিতে বেশ কার্যকরী। একইভাবে সুন্দর ও ঘন চোখের পাপড়ি পেতেও ব্যবহার করা যেতে পারে ক্যাস্টর অয়েল। চোখের পাপড়ি সুন্দর ও এর ঝরে যাওয়া রোধ করতে সাহায্য করে এই তেল।
অ্যালোভেরা : চোখের পাপড়িতে সারারাত অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে রাখতে হবে। কুসুম গরম পানি মিশিয়ে সকালে ধুয়ে ফেলতে হবে। ভালো ফলাফল পেতে নিয়মিত ব্যবহার করতে হবে।
পেট্রোলিয়াম জেলি : চোখের পাপড়িতে সারারাত পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে রাখলেও পাবেন ভালো ফল। সকালে কুসুম গরম পানি মিশিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।