বাংলাদেশের একজন মানুষও এখন আর বিশ্বকাপ নিয়ে খুব জোরাল স্বপ্ন দেখেন কিনা সেটি একটি প্রশ্ন। তবে সেদিকে নজর না নিয়ে বাংলাদেশ দল এখনও স্বপ্ন দেখাচ্ছে সেমিফাইনালের।
সমীকরণ বলছে এখনও সেমিফাইনালে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের। আর বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান যখন নিজেই সেই স্বপ্নটা দেখান তখন আত্মবিশ্বাসের জোরটা একটু হলেও বেড়ে যায়। বাংলাদেশের এই ক্রিকেটার এখনও মনে করছেন সেমিফাইনালের সব বন্ধ হয়ে যায়নি। আশা শেষ হয়ে যায়নি। পয়েন্ট টেবিলে যেভাবে উঠা-নামা করছে তাতে জয়ের ধারায় ফিরলে বাংলাদেশও চলতে শুরু করবে। প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। এই দলটি এখন বিশ্বকাপে উড়ছে। নেদারল্যান্ডসের কাছে হারলেও তাদের ব্যাটিং বোলিং শক্তিশালী। মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে আগের ম্যাচেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৯৯ রান করে ম্যাচ জিতে ছিল ২২৩ রানে। ব্যাটিং বোলিংয়ে ইংলিশদের গুড়িয়ে দিয়েছিল। আবার সেই মাঠেই আজ বাংলাদেশকে পাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
দক্ষিণ আফ্রিকার বেশির ভাগ ক্রিকেটার আইপিএল খেলেছেন। তাদের কোচিং স্টাফরাও ভারতের পিচ আবহাওয়া সম্পর্কে জানে। সেই ফায়দাটা খুব ভালো নিচ্ছেন। ওয়াংখেড়ের ব্যাটিং পিচ। ভালো ক্রিকেটে খেললে বোলাররা সুবিধা নিতে পারে। যেমনটা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে করে দেখিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সাকিব চাইছেন টস জিততে। কিন্তু টসব জিতে কি ব্যাট করবেন নাকি বল করবেন। সেটা সাকিবের মাথায় আছে। আর অন্য একটি পরিসংখ্যান বলছে শেষ ১৫ ম্যাচের ১০টিতেই রান তাড়া করে হেরেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এর মধ্যে এবার বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে রান তাগা করেও হেরেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
গত বিশ্বকাপে ওভালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশ ম্যাচ জিতেছিল। সেকথা ভুলেনি প্রোটিয়ারা। কাল সংবাদ সম্মেলনে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যটার এইডেন মার্ক জানিয়ে গেলেন বাংলাদেশকে বড় দলই ভাবছেন তারা।