প্রথমবার জাতিসংঘের বৈঠকে যোগ দিলো তালেবান

Date: 2024-07-03
news-banner
কাতারের দোহায় জাতিসংঘ আয়োজিত আফগানিস্তান বিষয়ক বৈঠকে যোগ দিল তালিবান। কাবুল থেকে আফগানিস্তান উড়ে গেলেন তালিবান মুখপাত্র, সংবাদমাধ্যমের সামনে পরিচিত মুখ জাবিউল্লাহ মুজাহিদ। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে  বিশ্বজুড়ে নারী অধিকার কর্মীরা ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। এই বৈঠকে ভারতের প্রবীণ কূটনীতিক জেপি সিং-এর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল উপস্থিত ছিলেন।  

ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং ইরান বিভাগের প্রধান জেপি সিং বৈঠকের আগে তালেবান প্রতিনিধিদের সাথে দেখাও করেছেন। এ প্রসঙ্গে তালেবান সরকারের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “দুই দেশের সম্পর্কের উন্নয়নের বিষয়ে মতামত বিনিময় হয়েছে।” ভারত দোহা বৈঠকে তালেবানের অবস্থানকে সমর্থন করেছে, বিপরীতে আফগানিস্তানে ভারতের সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছে তালেবান সরকার। যুদ্ধ-বিধ্বস্ত আফগনিস্তানের অর্থনীতি এবং পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার প্রভাব জাতিসংঘের নেতৃত্বাধীন বৈঠকে একাধিকবার গুরুত্ব পেয়েছে, আলোচনায় মাদক এবং দেশের অন্যান্য বিষয়গুলিতেও আলোকপাত করা হয়েছে।  

এবারেও বৈঠকের আগে শর্ত দিয়েছিল তালিবান। বলা হয়েছিল, বৈঠকে কোনও নারীকে  রাখা যাবে না। এমনিতেই রাষ্ট্রপুঞ্জের কর্তারা আগে বহুবার বলেছিলেন, নারীদের অধিকার না দিলে তালিবান-শাসিত আফগান সরকারের স্বীকৃতি পাওয়া সম্ভব নয়।
বিজ্ঞাপন

কিন্তু তাও নারীদের শেষ অবধি বাদ দিয়েই বৈঠক আয়োজন করা হয়েছিল। যা নিয়ে তোপ দেগেছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের আফগান বিষয়ক সর্বোচ্চ কর্তা, কিরগিজস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ও কূটনীতিবিদ রোজা ওতুনবায়েভা। যদিও তালিবানি মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ জানিয়েছেন, পশ্চিমী দুনিয়ার উচিত, নারীদের নিয়ে তালিবান কী করল সেসব না দেখে বিদেশনীতিকে মজবুত করার চেষ্টা করা। তালিবানের নিজস্ব কিছু 'ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক বিশ্বাস' রয়েছে। সেসবকে মান্যতা না দিলে কোনও সদর্থক আলোচনা সম্ভব নয়। 

জাতিসংঘের বৈঠকের আগে, তালেবানরা উজবেকিস্তান, রাশিয়া এবং সৌদি আরবের কূটনৈতিক প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা করেছে। তালেবানের একটি বিবৃতি অনুসারে, রিয়াদ কাবুলে "যত তাড়াতাড়ি সম্ভব" তার দূতাবাস পুনরায় চালু করতে চায়। তালেবানরা জাতিসংঘ এবং পশ্চিমা দেশগুলির অধীনে অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু হয়ে যাচ্ছে এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আফগানিস্তানের সমস্ত বৈদেশিক রিজার্ভ হিমায়িত রয়েছে।  

কাজাখস্তানের মতো প্রতিবেশী কিছু দেশ তাদের নিষিদ্ধ গোষ্ঠীর তালিকা থেকে তালেবানকে সরিয়ে দিয়েছে। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও বিষয়টি বিবেচনা করছে বলে জানা গেছে। এদিকে, চীন এই ফেব্রুয়ারিতে তালেবান শাসন দ্বারা নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়া প্রথম দেশ হয়ে উঠেছে।
সূত্র: দা প্রিন্ট
image

Leave Your Comments