মঙ্গলবারই আমেরিকার নাগরিকেরা সেই বাসিন্দার নাম চূড়ান্ত করে ফেলবেন। তবে কমলা হ্যারিস আর ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বৈরথ যদি অমীমাংসিত রয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে কী হতে পারে, তা নিয়েও জনকৌতূহল রয়েছে।
ভারতের মতো বহুদলীয় দেশে এই ধরনের পরিস্থিতিকে ‘ত্রিশঙ্কু’ বলা হয়ে থাকে। অর্থাৎ, যখন নির্দিষ্ট কোনও দল বা জোট সরকার গড়ার জন্য প্রয়োজনীয় আসন বা ‘জাদুসংখ্যা’ পায় না। বহুদলীয় গণতন্ত্রের কারণে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ছোট দলগুলি বড় দল বা জোটকে সমর্থন করে। তখন অচলাবস্থা কাটে। আমেরিকার মতো মূলত দ্বিদলীয় গণতান্ত্রিক দেশে সেই সুযোগ নেই। এখানে লড়াই প্রধানত দুই দল, আরও স্পষ্ট করে বললে দুই ব্যক্তির মধ্যে।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কে জয়ী হবেন, তা ভোটারদের সরাসরি ভোট (পপুলার ভোট)-এ নির্ধারিত হয় না। কেন্দ্রীয় পর্যায়ে (ফেডারেল) নির্বাচনী লড়াইয়ের বদলে জয়-পরাজয় নির্ধারিত হয় একেকটি প্রদেশের নির্বাচনী লড়াইয়ের মাধ্যমে। আমেরিকার ৫০টি প্রদেশের একটিতে জয়ী হওয়ার অর্থ সংশ্লিষ্ট প্রার্থী সেই প্রদেশের সব ক’টি ‘ইলেক্টোরাল কলেজ’ ভোট পেয়ে যাবেন। যেমন, টেক্সাসে ৪০ জন ইলেক্টর রয়েছেন। কমলা হ্যারিস বা ডোনাল্ড ট্রাম্প, যিনি এই প্রদেশে বেশি পপুলার ভোট পাবেন, তিনিই প্রদেশের ৪০ জন ইলেক্টরকে জিতে নেবেন। ইলেক্টোরাল কলেজের মোট ভোটের সংখ্যা ৫৩৮। দু’টি প্রদেশ বাদে বাকি সবগুলি রাজ্যের ইলেক্টোরাল ভোট যোগ করলে যে প্রার্থী ২৭০টি বা তারও বেশি ভোট পাবেন, তিনিই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন।