মণিপুরে ফের কারফিউ জারি, বন্ধ ইন্টারনেট

Date: 2024-11-17
news-banner
অশান্ত মণিপুর রাজ্যের পশ্চিম ইম্ফল ও পূর্ব ইম্ফলে আবার কারফিউ জারি করা হয়েছে।  শনিবার (১৬ নভেম্বর) ইন্ডিয়া টুডের খবরে বলা হয়েছে, অপহরণ করে ছয়জনকে হত্যার প্রতিবাদে নতুন করে বিক্ষোভ শুরু হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।  একইসঙ্গে সাতটি জেলায় স্থগিত করা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। 
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরের বর্তমান পরিস্থিতির বিবেচনায় পশ্চিম ইম্ফল, পূর্ব ইম্ফল, বিষ্ণুপুর, থৌবাল, কাকচিং, কাংপোকপি ও চুরাচাঁদপুর জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা দুই দিনের জন্য স্থগিত রাখা হয়। ইম্ফল উপত্যকার জেলার কিছু অংশে ব্যাপক সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে। ক্ষুব্ধ জনতা বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার বাসভবনে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে।
মণিপুরের স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, গতকাল শুক্রবার জিরিবামের একটি নদী থেকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।  অন্য তিনজনের মরদেহ আজ পাওয়া গেছে।শনিবার জানিয়েছে, ইম্ফলের খোয়াইরামবন্দ কিথেলে ছয়জনকে অপহরণ ও হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়।  নিহতদের তিনজন নারী ও বাকি তিনজন শিশু। ধারণা করা হচ্ছে মরদেহগুলো মেইতেই সম্প্রদায়ের। গত সপ্তাহে জিরিবাম জেলায় মণিপুর পুলিশ ও কুকি বিদ্রোহীদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ হয়। ওই ঘটনার পর থেকে তারা নিখোঁজ ছিলেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় মণিপুর-আসাম সীমান্তে জিরিবাম জেলার প্রত্যন্ত গ্রামের জিরিমুখের একটি নদীর কাছে তাদের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, সহিংসতার কারণে গত বছর কয়েক মাস মণিপুরে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রাখা হয়েছিল। ওই সময় অন্তত ৬০ হাজার মানুষ গৃহহীন হন। তবে বেসরকারি পরিসংখ্যান বলছে, এই সংখ্যা আরো বেশি। নানা ধরনের উদ্যােগ নিয়েও ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার মণিপুরের জাতিগত দাঙ্গা লাগাম টেনে ধরতে পারছে না।  যা নিরাপত্তার জন্য আঞ্চলিক ঝুঁকি বাড়িয়েছে।
image

Leave Your Comments