গতকাল বুধবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরে আয়োজিত সমাবেশের মধ্যদিয়ে শেষ হয় বিএনপির তিন অঙ্গসংগঠনের লং মার্চ কর্মসূচি।
সমাবেশ থেকে ভারতকে প্রভুত্ব ছাড়ার বার্তা দিয়ে বন্ধুত্বের আহ্বান জানানোর পাশাপাশি, সব ধরনের ষড়যন্ত্র বন্ধে দেশটির প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা, জাতীয় পতাকা অবমাননা, ভারতীয় মিডিয়ায় বাংলাদেশ নিয়ে অপপ্রচার, সামপ্রদায়িক দাঙ্গার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিএনপির তিন অঙ্গসংগঠন–ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল এই লং মার্চ কর্মসূচির আয়োজন করে। লং মার্চ কর্মসূচিতে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএস জিলানী সভাপতিত্ব করেন। কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয়বাদী যুবদল সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না। খবর বাসসের।
গতকাল বিকেল ৪টার দিকে ঢাকা থেকে আসা লং মার্চের গাড়ি বহর আখাউড়ায় প্রবেশ করে। তবে যানজটের কারণে সব গাড়ি বন্দর এলাকায় পৌঁছাতে পারেনি। লং মার্চ উপলক্ষে সকাল থেকে আশে পাশের জেলার বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা আখাউড়ায় আসতে থাকেন। দুপুরে আখাউড়া বন্দর এলাকায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। সমাবেশে যুবদল সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির, ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্যামল মালুম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি ফখরুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
লংমার্চ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গতকাল সকাল ৭টা থেকে তিন সংগঠনের নেতা–কর্মী খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নয়াপল্টনে জড়ো হতে থাকেন। সংগঠন তিনটির নেতা–কর্মীরা মাথায় জাতীয় পতাকা বেঁধে এবং হাতে ফেস্টুন, জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা নিয়ে কর্মসূচিতে অংশ নেন। বিপুলসংখ্যক নেতা–কর্মী নিয়ে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নয়াপল্টন থেকে তাদের লংমার্চ শুরু হয়েছে। লংমার্চের বহরে বিপুল সংখ্যক গাড়ি ছিল। সকাল সাড়ে ৯ টায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে লংমার্চ শুরু হয়ে পল্টন–ফকিরাপুল–ইত্তেফাক মোড়, ফ্লাইওভারে হয়ে, সাইনবোর্ড–চিটাগং রোড–কাঁচপুর মোড়–তারাব–বরফা–ভুলতা, গাউছিয়া–চনপাড়া, মাধবদী–পাঁচদোনা–সাহেপ্রতাব, ভেলানগর–ইটখোলা–মারজাল–বারুইচাহয়ে ভৈরব পৌঁছায়। লংমার্চের সংক্ষিপ্ত পথ সভা ভৈরব মোড়ে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী বলেন, এই বাংলাদেশ শহীদ জিয়ার, খালেদার জিয়ার, তারেক রহমানের বাংলাদেশ।