টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে হামলাকারী সাদপন্থিদের শাস্তি, যশোর মার্কাজ মসজিদসহ সকল মসজিদে নিষিদ্ধ ঘোষণা এবং সকল কার্যক্রম বাংলাদেশে নিষিদ্ধের দাবিতে থানা ঘেরাও করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে বিক্ষোভ মিছিল শেষে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানা ঘেরাও করা হয়। পরে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক, জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদান করেন জেলার ওলামায়ে কেরাম ও তাবলিগের শূরায়ে নেজামের সাথীগণ। যশোর ওলামায়ে কেরাম ও তাবলিগের শূরায়ে নেজামের কয়েকজন সাথী বলেন, যশোরে সাদপন্থিদের মার্কাজ মসজিদের পাশে তাদের অবৈধভাবে দখল করা ভবন রয়েছে। তারা মার্কাজ মাদ্রাসার মধ্যে লাঠিসোটা, দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র জমা করতে দেখা গেছে এবং ওই রাতেই তারা এগুলো সঙ্গে নিয়ে টঙ্গী ময়দানে যায়। এ ন্যাক্কারজনক হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ও ইন্ধনদাতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
তবে তাবলিগ জামায়াত (সাদপান্থি) এসএম ইয়ামিন রহমান বলেন, পুরাতন কসবার সইদুল ইসলাম মার্কাজ’র পাশের ভবনের জমি দান করেন এবং জমিতে ভবন নির্মাণের অর্থায়ন করেন মিড টাউনের মালিক ওবায়দুল হক। এটা সাদপান্থিদের নিজস্ব ভবন, এটা অবৈধ বা দখলকৃত জায়গা নয়। তিনি আরও বলেন, জোবায়েরপন্থিরা মিথ্যা বানোয়াট ও উদ্ভট কথা বলছে। আমরা নয়; বরং জোবায়েরপন্থি সন্ত্রাসীরা লাঠিসোঠা, অস্ত্র নিয়ে টঙ্গী মাঠ দখল করে রাখে। যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দুই পক্ষকে নিয়ে বসা হবে। সেখানে কথা বলে সকল সমস্যার সমাধান করা হবে।