আর্জেন্টিনার ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে বড় নামটি ডিয়েগো ম্যারাডোনা। তার হাত ধরেই ১৯৮৬ সালে দ্বিতীয় বিশ্বকাপ জিতেছিল আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসির জীবনে ম্যারাডোনার প্রভাবটা লক্ষণীয়। দেশকে তৃতীয় বিশ্বকাপ জেতানো মেসি নিজের অষ্টম ব্যালন ডি’অর ম্যারাডোনাকেই উৎসর্গ করলেন।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে ঝলমলে অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে ব্যালন ডি’অর বিজয়ী হিসেবে মেসির নাম ঘোষণা করা হয়। দিনটি ছিল ম্যারাডোনার ৬৩তম জন্মবার্ষিকী। এমন দিনে পুরস্কার জিতে সেটি ম্যারাডোনাকে উৎসর্গ করতে ভুললেন না মেসি।
ব্যালন ডি’অর জয়ের পর মেসি বলেন, ‘আজ আমি ডিয়েগোর নাম বলতে চাই। তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর মতো এর চেয়ে ভালো সুযোগ আর হয় না। ফুটবল-পাগল অনেক মানুষ তাকে ভালোবাসে, যেটা তিনি চেয়েছিলেন। ডিয়েগো আপনি যেখানেই থাকুন, শুভ জন্মদিন। এই পুরস্কার আপনার জন্য।’
কাতার বিশ্বকাপে ফ্রান্সের বিপক্ষে ফাইনালে জোড়া গোলসহ আসরে মোট ৭ গোল করেন মেসি। জেতেন টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের খেতাব ‘গোল্ডেন বল’। পিএসজির জার্সিতে দ্বিতীয়বারের মতো জেতেন লিগ ওয়ানের শিরোপা। তাতে সব মিলিয়ে মেসিই এগিয়ে ছিলেন যোজন-যোজন।
এর আগে বিশ্বকাপ জয়ের পর মেসির পালকে কয়েকটি অর্জন যুক্ত হয়। বিবিসির ২০২২ সালের বর্ষসেরা ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব, ২০২৩ সালে লরিয়াসের বর্ষসেরা ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব, ও ফিফার বর্ষসেরার পুরস্কার ‘ফিফা দ্য বেস্ট’ জিতেছেন। গত রাতে সর্বশেষ পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন ব্যালন ডি’অর।