ইজতেমা মাঠে তাবলীগের দুপক্ষের সঙ্ঘর্ষে হতাহতের ঘটনায় মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীদের প্রধান মুরব্বি সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলামসহ ২৩ জনের জামিন আপাতত বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো: আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একইসাথে তাদের জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের ওপর আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া।
পরে ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘হাইকোর্ট ২৩ জনকে জামিন দিয়েছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষ তাদের জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করে। শুনানিতে বলেছি, এখন তাদের জামিন স্থগিত করা হলে ইজতেমার ওপর প্রভাব পড়বে। তখন আপিল বিভাগ রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মূলতবি করেছেন। এ পর্যন্ত তাদের জামিন বহাল রাখা হয়েছে।’
এর আগে গত ৮ জানুয়ারি ঢাকার উপকণ্ঠ টঙ্গীর ইজতেমা মাঠে তাবলীগ জামাতের দু’পক্ষের সঙ্ঘর্ষে হতাহতের ঘটনায় মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীদের প্রধান মুরুব্বি সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলামসহ ২৩ জনকে জামিন দেন হাইকোর্ট।
মামলায় পুলিশ প্রতিবেদন দেয়া পর্যন্ত তাদের এই জামিন দেয়া হয়। বিচারপতি মোহাম্মদ মাহবুব-উল ইসলাম ও বিচারপতি মো: হামিদুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এই আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন রাষ্ট্রপক্ষ।
গত ১৭ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে টঙ্গীর ইজতেমা মাঠে সঙ্ঘর্ষ ও নিহত হওয়ায় গত ১৯ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) টঙ্গী পশ্চিম থানায় মামলা করেন শূরাপন্থী এস এম আলম হোসেন নামের এক ব্যক্তি। তিনি কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার গাইটাল গ্রামের মরহুম এস এম মোক্তার হোসেনের ছেলে। কিশোরগঞ্জের আলমি শূরার সাথী তিনি। মামলায় ২৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় কয়েক শ‘জনকে আসামি করা হয়।