ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের প্রয়াগরাজে চলমান মহাকুম্ভ মেলা মঙ্গলবার প্রায় মধ্যরাতে ঘটে গেলো ভয়াবহ দুর্ঘটনা। মৌনি অমাবস্যার ‘অমৃতস্নান’ উপলক্ষে ঘাটে ভিড় জমিয়েছিলেন লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী। সেখানেই ১১ থেকে ১৭ নম্বর খুঁটির মাঝে ভিড়ের চাপে ব্যারিকেড ভেঙে যায়। যার জেরে পদপিষ্ট হন বহু মানুষ। দুর্ঘটনায় ৪০ থেকে ৫০ জন আহত ও ১৪ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে তবে এখনও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে মৃত্যুর সংখ্যা নির্ধারিত হয়নি। আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় কুম্ভের অস্থায়ী হাসপাতালে। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক চরম আকার নেয়।
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে ফোন করে ঘটনার বিস্তারিত খোঁজ নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়। কুম্ভমেলার বিশেষ কার্যনির্বাহী কর্মকর্তা আকাঙ্ক্ষা রানার মতে, কিছু বেরিয়ার ভেঙে যাওয়ার পর ‘পদপিষ্ট হওয়ার মতো’ পরিস্থিতি তৈরি হয়, যার ফলে বহু মানুষ আহত হন। আহতদের চিকিৎসা চলছে। ভিড়ের মধ্যে আহতদের সেন্ট্রাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এদিকে গোটা ঘটনায় কাঠগড়ায় যোগী আদিত্যনাথের প্রশাসন। পঞ্চায়েতি আখড়ার মহামণ্ডলেশ্বর সন্ত প্রেমানন্দ পুরীর দাবি, প্রথম থেকেই তাঁরা চাইছিলেন সেনার হাতে থাকুক ভিড় নিয়ন্ত্রণের ভার। এই অনভিপ্রেত ঘটনায় প্রশাসনকেই কাঠগড়ায় তুলছেন তিনি। তাকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘একেবারে অপদার্থ প্রশাসন। আমরা শুরু থেকেই দাবি করছি, কুম্ভের নিরাপত্তার ভার থাকুক সেনার হাতে। কিন্তু আমাদের কথা কেউ শোনেনি। প্রশাসনিক গাফিলতি কুম্ভকে কলঙ্কিত করেছে।