সেন্ট কিটসে গেলো ভোরে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে ১০৬ রানে হারিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সবচেয়ে বড় ব্যবধানের জয়। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৯৯ রানের জয় ছিল আগের সেরা। আর বাংলাদেশের এটি দ্বিতীয় বৃহত্তম হার।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২০ ওভারে তোলে ২০১ রান। ৩৬ বলে ৬৩ রানের ইনিংস খেলেন ওপেনার কিয়ানা জোসেফ। আর বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ৫ ছক্কায় ২০ বলে ৪৯ রানের ইনিংস খেলেন ডেন্ড্রা ডটিন। টি-টোয়েন্টিতে এই প্রথম বাংলাদেশের বিপক্ষে দুইশ রানের ইনিংস হলো। আগের সর্বোচ্চ ১৮৯ ছিল যৌথভাবে অস্ট্রেলিয়া ও নিউ জিল্যান্ডের। জবাবে গোটা ২০ ওভার খেলেও ৯৫ রানেই থামে জ্যোতির দলের ইনিংস।
ওয়ার্নার পার্কের ব্যাটিং স্বর্গে এদিন টস জিতে বোলিং নিয়েই বিপাকে পড়ে যান বাংলাদেশ অধিনায়ক জ্যোতি। ম্যাচের একদম শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের বোলিং গুঁড়িয়ে দেন ক্যারিবিয়ান ব্যাটাররা। দ্বিতীয় ওভারে তিনটি, তৃতীয় ওভারে তিনটি, প্রথম পাঁচ ওভারেই বাউন্ডারি আসে ১১টি! দলের রান পেরিয়ে যায় পঞ্চাশ।
ষষ্ঠ ওভারে আক্রমণে এসে জুটি ভাঙেন লেগ স্পিনার রাবেয়া খান। ৬ চারে ১৮ বলে ২৭ করে বোল্ড হন ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক হেইলি ম্যাথিউস। এরপর জোসেফ আর অভিজ্ঞ ডটিন ২৭ বলে যোগ করেন ৬৩ রান! ৯ চার ও ২ ছক্কায় ৬৩ রান করে রাবেয়ার বলে স্টাম্পড হন জোসেফ। টি-টোয়েন্টিতে তার আগের সর্বোচ্চ ছিল ৫২। শেষ দিকে শাবিকা গাজনাবি ১২ বলে অপরাজিত ২৪ করে দুইশ পার করান দলকে।
বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের সামর্থ্য ছিল না এত বড় লক্ষ্য তাড়া করার। কিন্তু লড়াইও করতে পারেননি তারা। শুরুতেই শূন্যে রানে ফেরেন সোবহানা মোস্তারি। পরের ওভারেই জাইদা জেমসের বাঁহাতি স্পিনে স্টাম্পড হন তিনে নামা তাজ নেহার। ফ্রেজারের পরের ওভারে এলোমেলো শটে আউট হন দিলারা আক্তার। রান যা করার, একটু করেন কেবল শারমনি আক্তার। তার ২৫ বলে ২২ রানই সর্বোচ্চ।