সেন্ট কিটসে শেষ ম্যাচেও হার বাংলাদেশের

ঘরের মাঠে আগেই সিরিজ নিশ্চিত করে রাখে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এবার টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে ৫ উইকেটে হারিয়ে হোয়াইটওয়াশ করলো ক্যারিবিয়ান নারীরা। এ নিয়ে ঐতিহাসিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে ছয় ম্যাচের পাঁচটিতেই হারলো নিগার সুলতানা জ্যোতিরা।

   

শনিবার ভোরে শেষ হওয়া ম্যাচটির হার টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের টানা নবম। ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হবার আগে গত বছর ডিসেম্বরে মিরপুরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষেও টান তিন ম্যাচ হারে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। এর আগে গত অক্টোবরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আইসিসি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও নিজেদের শেষ তিন ম্যাচ হেরে শেষ করে বাংলাদেশের মেয়েরা। এদিন টসে জিতে সফরকারীদের আগে ব্যাট করতে পাঠায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেটে ১০৪ রান সংগ্রহ করে জ্যোতিরা। রান তাড়ায় শুরুতে খেই হারিয়ে ফেললেও ৯ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় স্বাগতিক দল। বাংলাদেশের হয়ে ৪৩ বলে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন টাইগ্রেস অধিনায়ক জ্যোতি। দলীয় ২৪ রানে দিলারা আক্তার ও মুর্শিদা খাতুনের ওপেনিং জুটি ভাঙেন জেনিলিয়া গ্ল্যাসগো। ১৬ বলে ব্যক্তিগত ২১ রান করে আউট হন দিলারা। 

এরপর নিয়মিত আসা যাওয়ার মধ্যে প্রতিরোধ গড়তে পারেন কেবল জ্যোতি। ৮ উইকেটে ১০৪ রানে শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সর্বোচ ৩ উইকেট নেন গ্ল্যাসগো। ছোট পুঁজি নিয়ে শুরুতে আশার আলো দেখে সফরকারীরা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ওপেনার নেরিসা ক্রাফটনকে তুলে নেন সুলতানা খাতুন। দলীয় ২৬ রানে আরেক ওপেনার জোসেফকে ফেরান ফাহিমা খাতুন। আগের দুই ম্যাচে ব্যাট হাতে দারুণ পারফর্মেন্স করা ডিয়ান্ড্রা ডটিন আউট হন ব্যক্তিগত ১০ রানে। ম্যাচের এক পর্যায়ে টানা তিন ওভারে উইকেট হারিয়ে ৫ উইকেটে দলীয় সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬১ রান। সেখান থেকে ম্যাচ বের করে নিয়ে আসেন সাবিকা গজনবি ও জাইদা জেমস। ব্যক্তিগত ২৭ রানে সাবিকা ও ১৪ রানে জাইদা অপরাজিত থাকেন। ১৮.৩ ওভারে ষষ্ঠ উইকেটের জুটিতে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশের হয়ে দুইটি করে উইকেট নেন সুলতানা খাতুন ও ফাহিমা খাতুন। এর আগে তিন ম্যাচে ওয়ানডে সিরিজের দুইটিতে হেরে সরাসরি ভারত বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ হারায় বাংলাদেশ। বাছাইপর্বে খেলে কাটতে হবে বিশ্বকাপের টিকিট।