বুধবার (১ নভেম্বর) রাত ৯টার দিক টানেল কর্তৃপক্ষ বাদী হয়ে কর্ণফুলী থানায় মামলাটি করেছে। মামলার এজাহারে গাড়ির নম্বর উল্লেখ করা হলেও চালকদের নাম নেই। এখন চালকদের শনাক্তে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কাছে আবেদন করবে পুলিশ।
বন্দর জোনের পুলিশ উপকমিশনার (ডিসি) শাকিলা সোলতানা বলেন, ‘টানেল কর্তৃপক্ষ চারটি গাড়ি শনাক্ত করে মামলার আবেদন করেছে। আমরা সেটি মামলা হিসেবে নিয়েছি। চালকদের গ্রেপ্তার করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
গত শনিবার টানেলটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরদিন রোববার থেকে শুরু হয় গাড়ি চলাচল। ওইদিন রাতে বেপরোয়া গতিতে টানেলের ভেতরে বাইরে স্পোর্টস কার চালানোর ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে। সেই ভিডিও দেখার পর চারপাশে শুরু হয় সমালোচনা। এরপর স্পোর্টস কার চালানো সেই উঠতি বয়সের তরুণদের শনাক্তে উদ্যোগী হয় টানেল কর্তৃপক্ষ।
টানেলের সহকারী প্রকৌশলী (টোল ও ট্র্যাফিক) তানভীর রিফা বলেন, টানেলের ভেতর সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চলতে পারে। কিন্তু রেসে অংশ নেওয়া গাড়িগুলো তার চেয়ে বেশি গতিতে চলেছে। শুধু তাই নয়, গাড়িগুলো যেভাবে প্রতিযোগিতায় মেতে উঠেছিল, তাতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। আমরা বিষয়টি সিসিটিভি ফুটেজ দেখে নিশ্চিত হয়েছি।