করাচিতে উদ্বোধনী ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩২০ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। জবাবে খেলতে নেমে ৪৭ ওভার ২ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৬০ রানের বেশি করতে পারেনি পাকিস্তান।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি পাকিস্তানের। ৬ রান করে সৌধ শাকিল বিদায় নিলে ৮ রানে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি।
মিডল অর্ডারে ব্যর্থ তৈয়ব তাহির। এক রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। দেখে শুনে খেলা বাবরও ফিরেছেন ফিফটির পর। শেষদিকে কিছুটা লড়াই করেছেন খুশদিল শাহ। ৪৯ বলে অপরাজিত ৬৯ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। তবে সেটা কেবলই ব্যবধান কমিয়েছে।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে কিউইদের শুরুটা ছিল দেখেশুনে। দলীয় ৩৯ রানে তাদের প্রথম আঘাতটা দেন লেগস্পিনার আবরার আহমেদ। ব্যক্তিগত ১০ রানে তার বলে বোল্ড হয়ে যান ওপেনার ডেভন কনওয়ে। আর এক রান যোগ হতেই আউট হয়েছেন কিউইদের সাবেক অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসন। সম্প্রতি দারুণ ফর্মে থাকা এই অভিজ্ঞ তারকাকে ১ রানে ফিরিয়েছেন পেসার নাসিম শাহ। ড্যারিল মিচেল রান করতে কিছুটা সংগ্রাম করছিলেন। ২৪ বলে ১০ রান করতেই তাকে ফেরান হারিস রউফ।
৭৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে কিছুটা ব্যাকফুটে চলে যাওয়া নিউজিল্যান্ড পাল্টা লড়াই শুরু করে এরপর। পঞ্চম উইকেট জুটিতে ল্যাথাম-ইয়াং দেখেশুনে শুরু করে সেটিকে নিয়ে যান ১১৮ রান পর্যন্ত। এরই মাঝে ইয়াং তুলে নেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি। ফরম্যাটটিতে দেশের বাইরে এটি তার প্রথম শতক। নাসিমের দ্বিতীয় শিকার হয়ে আউট হওয়ার আগে ইয়াংয়ের ব্যাটে আসে ১০৭ রান। এরপর রানের গতি বেড়েছে কিউইদের। ক্রিজে এসেই ইনফর্ম ব্যাটার ফিলিপস ব্যাট চালিয়েছেন ঝড়ের তালে। ল্যাথামের সঙ্গে তিনি গড়েন ১২৪ রানের জুটি।
দারুণ বোলিং করতে থাকা পাকিস্তান শেষদিকে এমন বিপর্যয় দেখবে হয়তো কল্পনাও করেনি। ফিলিপস বেশি চড়াও ছিলেন শাহিন আফ্রিদির ওপর। এখন পর্যন্ত ওয়ানডেতে এই পাক পেসারের ২৯ বলের বিপরীতে ৭৮ রান করেছেন ফিলিপস।