চারদিকে মৃত্যুর মিছিল। এরই মধ্যে বাড়ছে ক্ষুধা। বন্ধ হয়ে গেছে বেকারিগুলো। বাজারগুলোও খালি পড়ে আছে। এক মাসেরও বেশি সময় অবরুদ্ধ গাজার শেষ খাবারটুকুও ফুরিয়ে আসছে। একবেলা-আধপেটা খেয়ে দেখা দিয়েছে তীব্র অপুষ্টি। যার জেরে ক্রমবর্ধমান আহত প্রতিবেশী-প্রিয়জনদের রক্ত দিতেও পারছেন না গাজাবাসী। খাদ্যাভাবে সৃষ্ট চরম অপুষ্টির কারণে রক্ত কমে গেছে তাদের নিজেদের শরীরেই!
এদিকে ইসরাইলি অবরোধের নিন্দা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা এবং অধিকার গোষ্ঠীগুলো। তা সত্ত্বেও গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইলি বাহিনী। মঙ্গলবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ২৮ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের বোমা হামলায় জীবন্ত পুড়ে মরেছেন একই পরিবারের ১১ জন। একাধিক বিমান হামলার কারণে খান ইউনিসে ওই বাড়িতে আগুন লেগে যায়। গাজা শহরের পশ্চিম অংশে বিমান হামলায় একটি পরিবারের সাত সদস্যও নিহত হয়েছেন।
যুদ্ধবিরতি নিয়ে নতুন প্রস্তাব কাতার-মিসরের : হামাস-ইসরাইল যুদ্ধ বন্ধে নতুন একটি প্রস্তাব তৈরি করেছে মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার ও মিসর। আলোচনার সঙ্গে যুক্ত এক জ্যেষ্ঠ ফিলিস্তিনি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে। ওই কর্মকর্তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নতুন এ প্রস্তাব কার্যকর হলে হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি থাকবে পাঁচ থেকে সাত বছর।
এই সময়ে জিম্মিদের মুক্তি দেবে হামাস, বিনিময়ে ইসরাইলের কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দেবে নেতানিয়াহু প্রশাসন। এই চুক্তির আওতায় গাজা থেকে ইসরাইলি সেনা পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হবে। হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দারবিশ এবং প্রধান আলোচক খালিল আল হাইয়া এই আলোচনায় থাকবেন। তবে নতুন এ প্রস্তাব সম্পর্কে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি ইসরাইল।