রমজানে দামে ভোগাবে পাঁচ নিত্যপণ্য

Date: 2023-02-17
news-banner
সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবির তথ্য অনুসারে, গত এক বছরের ভোজ্য তেল, চিনি, ছোলা ও ডালের দাম বাড়লেও খেজুরের দাম বাড়েনি। তবে বাজার ঘুরে খেজুরের দাম কার্টনপ্রতি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা বেশি পাওয়া গেছে। গত এক সপ্তাহে এই দাম বেড়েছে বলে বিক্রেতারা জানান। চিনির দাম বেড়েছে ৪৮ শতাংশের বেশি।

বাজারে পণ্য সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকলেও ঘাটতি তৈরির পেছনে ক্রেতাদের বিশেষ কোনো পণ্য কেনার ধুমকে (প্যানিক বায়িং) বেশি দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা। অর্থাৎ ক্রেতাদের মধ্যে যদি এই ধারণা হয় যে নির্দিষ্ট কোনো পণ্য সরবরাহে ব্যাপক ঘাটতি দেখা দেবে, তখন ওই পণ্য কিনতে সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়ে। এতে ঘাটতি সংকটের আশঙ্কা না থাকলেও সংকট সৃষ্টি হয়।

সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, সরকারের যৌক্তিক সুপারিশ আমদানিকারকরা না মানায় ভোক্তারা ঠকছে। ফলে পণ্যের ঘাটতি না থাকলেও ব্যবসায়ীদের মুনাফাবাদী মানসিকতায় ভোক্তারা ভুগছে।

এ বিষয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম শফিকুজ্জামান  বলেন, বাজারে রমজানে বহুল ব্যবহৃত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ বা মজুদে কোনো ঘাটতি নেই। কখনো কখনো অসাধু ব্যবসায়ীরা যোগসাজশ করে পণ্যের দাম বাড়ায়, যাতে বাজার অস্থিতিশীল হয়। এ ছাড়া ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নের ফলে গত বছরের তুলনায় এবারের রোজায় পণ্যদর ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। 

তিনি বলেন, এবার রমজানে পণ্যের দাম সহনীয় রাখতে ভোক্তা অধিকার তার প্রচলিত কার্যক্রম ছাড়াও পণ্যের অতিরিক্ত দাম বা কারচুপি করা হলে ওই মার্কেটের ব্যবসায়ী সমিতির কমিটিকেও শাস্তির আওতায় আনবেন, প্রয়োজনে মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর কয়েকটি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, রমজানে বহুল ব্যবহৃত প্রতি লিটার  সয়াবিন তেল (বোতল) ডিলার পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ১৮৩ টাকা  আর খুচরা পর্যায়ে বিক্রি করছে ১৮৬ টাকা। খুচরা বাজারে পাঁচ লিটারের বোতল বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকা। পাইকারি বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে ৮৭০ থেকে ৮৮০ টাকা।

এ ছাড়া চিনি পাইকারি বিক্রি হয়েছে ১০৯ টাকা আর খুচরা ১১৫ টাকা, ডাল  পাইকারি ১৩২ টাকা আর খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা। ছোলা পাইকারি পর্যায়ে বিক্রি করছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা আর খুচরা বাজারে ১১০ টাকা।



image

Leave Your Comments