আধুনিক তুরস্কের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ঘটনা এবারের ভূমিকম্প। পরিস্থিতি সামাল দিতে আপ্রাণ চেষ্টা করছে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেব এরদোয়ানের সরকার। অন্যদিকে, সিরিয়ার ট্র্যাজেডির শিকার মানুষদের নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।
ভূমিকম্প আঘাত হানার ১২ দিন পর, কিরগিজস্তানের কর্মীরা দক্ষিণ তুরস্কের আন্তাকিয়া শহরের একটি ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে পাঁচ সদস্যের একটি সিরিয়ান পরিবারকে বাঁচানোর চেষ্টা চালায়। এক শিশুসহ ৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করে তারা। মা ও বাবা বেঁচে গেলেও পরে পানিশূন্যতায় শিশুটির মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে উদ্ধারকারী দল।
জাতিসংঘ সিরিয়ায় ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত এলাকার মানুষের জন্য ৪০ কোটি ডলার সহায়তা জরুরি বলে জানিয়েছি জাতিসংঘ। সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, তুরস্কের দুর্গত এলাকার মানুষদের জন্য ১০০ কোটি ডলার সহায়তা প্রয়োজন।
জাতিসংঘের ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিভাগের প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস গত সপ্তাহে তুরস্কের ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে যান। তিনি জানান, অবর্ণনীয় কষ্ট পাচ্ছেন তারা। আমাদের অবশ্যই তাদের অন্ধকার সময়ে পাশে দাঁড়াতে হবে এবং নিশ্চিত করতে হবে তারা প্রয়োজনীয় সহায়তা পাবেন।
ভূমিকম্প আঘাত হানার পর থেকে চলছে উদ্ধার অভিযান। প্রতিদিনই বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা। একই সঙ্গে চলছে উদ্ধার অভিযান এবং ত্রাণ সহায়তা। এর অংশ হিসেবে জাতিসংঘের ত্রাণ নিয়ে ১৭৮টি ট্রাক তুরস্ক থেকে সিরিয়ায় গিয়েছে। এগুলোতে জাতিসংঘের ৬টি সংস্থার বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী রয়েছে। তুরস্ক-সিরিয়ায় ভয়াবহ এ ধ্বংসযজ্ঞের ক্ষত মুছতে আরও বহুদিন লেগে যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ‘শতাব্দীর ভয়াবহতম’ এ ভূমিকম্পে মোট ৫০ হাজার ৫৭৬টি ভবন পুরোপুরি ধসে পড়েছে অথবা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।