আব্বাস মাঝি প্রতিদিনের মতো ট্রলার ও জাল নিয়ে সাগরে গিয়েছিলেন মাছ শিখার করতে। কিন্তু নসিবে থাকলে যা হয়, এক ট্রিপেই তার জালে মিলেছে ১১ মণ পাঙ্গাস মাছ। বুধবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার কুয়াকাটা মাছ বাজারে মাছগুলো বিক্রির জন্য নিয়ে আসা হয়। এ সময় নিলামের মাধ্যমে মাছগুলো কিনে নেয় মুন্নি ফিশ আড়ত নামে আড়তদার।
মাছ বিক্রি করতে আসা আব্বাস মাঝি বলেন, ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে আমরা তেমন ইলিশের দেখা পাচ্ছি না। তবে নিষেধাজ্ঞা শেষে পাঙ্গাসসহ বিভিন্ন প্রজাতির সাদা মাছের দেখা পাচ্ছি। বর্তমানে সাগর-নদীর মোহনাগুলোতে প্রচুর পাঙ্গাস মাছের দেখা মিলছে।
মেসার্স মুন্নি ফিশের স্বত্তাধিকারি মো. আনোয়ার হাওলাদার খুবই উৎফুল্ল মনে বলেন, আব্বাস মাঝি সমুদ্র থেকে ১১ মণ পাঙ্গাস মাছ ধরে নিয়ে আসছে। যার বর্তমান বাজার মূল্য ১ লাখ ৮ হাজার টাকা। তবে অবরোধের কারণে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক না থাকায় আমরা মাছ সরবরাহ করতে পারছি না। তাই বাজারে দাম কিছুটা কম।
কলাপাড়া উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, সমুদ্র এলাকায় আমরা শুধু ইলিশ মাছের গুরুত্ব দেই। সমুদ্রে ইলিশ ছাড়া আরও হাজারো প্রজাতির মাছ রয়েছে। তবে ইলিশ ও পাঙ্গাসের প্রজনন সময় কাছাকাছি হওয়ায় উৎপাদন বেড়েছে। নিষেধাজ্ঞা সঠিকভাবে পালন হওয়ায় জেলেদের মুখে স্বস্তির হাসি ফুটেছে।