নিউজ ডেস্ক: বৈরী আবহাওয়া ও সাগর উত্তাল থাকার কারণে অরাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা এড়াতে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন। যার কারণে ৪৫০জন পর্যটককে দ্বীপে রাত্রি যাপন করতে হবে।
সাগর উত্তাল থাকার কারণে আজ বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকবে। বুধবার (১৫ নভেম্বর) সকালে পর্যটকবাহী কেয়ারি সিন্দাবাদ বার আউলিয়া ও আটলান্টিক জাহাজে করে দ্বীপ ভ্রমণে যায় চারশত এর বেশি পর্যটক। এদিন বিকালে আড়াইশ পর্যটক দ্বীপ ছাড়লেও সেখানে বাকিরা আটকে যান।
ইউএনও বলেন, আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ আরও ঘনীভূত হয়ে এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরসমূহের ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ কারণে দেশের চার বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। নিম্নচাপের প্রভাবে সেন্টমার্টিন ও টেকনাফে বুধবার দুপুরের পর থেকে আবহাওয়া গুমোট হয়েছিল। সাগর ক্রমেই উত্তাল হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। এ কারণে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পুনরায় জাহাজ চলাচল শুরু হবে। তখন দ্বীপে থাকা পর্যটকদের ফিরিয়ে আনা হবে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) টেকনাফ অঞ্চলের ট্রাফিক সুপারভাইজার মো. জহির উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, টেকনাফের দমদমিয়া জেটিঘাট থেকে বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কেয়ারি সিন্দাবাদে ১৩২ জন, আটলান্টিকে ৮৯ ও এমভি বারো আউলিয়ায় ২৯৮ জন পর্যটক সেন্টমার্টিন দ্বীপে বেড়াতে গেছেন। পরে জাহাজে করে বেলা ৩টায় তিন শতাধিক পর্যটক ফেরত আসলেও অন্যরা দ্বীপে রয়ে গেছেন। আগের দিন মঙ্গলবার বেড়াতে গিয়ে রাত যাপনের জন্য ছিলেন দুই শতাধিক পর্যটক। ফলে দ্বীপে এখন চার শতাধিক পর্যটক অবস্থান করছেন।