নিজস্ব প্রতিবেদক: কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, আমরা ৩০০ আসনেই নির্বাচন করবো। আমরা হয়তো ৩০০ আসনে পুরোপুরি প্রার্থী নাও দিতে পারি। আমাদের এতো প্রস্তুতি নেই, এতো বড় দলও আমরা না। তবে অসংখ্য আসনে প্রার্থী দেওয়া হবে এবং অন্য দলের লোকজনকেও আমাদের গামছা মার্কা উপহার দেব।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকালে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার সন্তোষ গ্রামে মাওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকীতে তার মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ভাসানীর মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। কাদের সিদ্দিকী বলেন, নির্বাচন হয় প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক। আওয়ামী লীগের সাথে জোট করলে নির্বাচন করবো কার সাথে। বিএনপি নির্বাচনে নাই, জাতীয় পার্টিও টানাটানি করছে। আমরা আওয়ামী লীগের সাথে যদি জোট করি মানুষ ভোট দেবে কাকে। মানুষের ভোট দেওয়ার জায়গা থাকবে না।
তিনি বলেন, আমরা আমেরিকায় বসবাস করি না। আমরা বাংলাদেশে বাস করি। আমেরিকা স্যাংশন দেবে এই ভয়ে আমরা বিয়ে করব, না বউ তালাক দেব, মেয়ের বিয়ে হবে, না ছেলের বিয়ে করাব- এটা চিন্তা করা উচিত না।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমেরিকার রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বাংলাদেশের ইলেকশন নিয়ে এতা দৌড়াদৌড়ি ভালো না। এটা তার দেশ না, এটা আমাদের দেশ। তিনি মাত্র তিনটি দলকে চিঠি দিয়েছেন, দেশে কি আর কোনো দল নাই? আর কি কোনো মানুষ নাই? তিনি তিনটি দলকে চিঠি দিয়ে দেশকে ভাগ করে দিয়েছেন। এটি তিনি গর্হিত কাজ করেছেন, তিনি দেশের সংবিধান অনুযায়ী জঘন্য অপরাধ করেছেন। এজন্য তাকে স্যাংশান দেওয়া যেতে পারে এবং আইনের আওতায় আনা যেতে পারে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপিতে মুসলমান আছে কিনা জানি না। বিএনপি ভোটে দাঁড়ালেও আমেরিকার সমর্থন নেওয়ায় বিএনপিকে মুসলমানরা ভোট দেওয়া উচিত না।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, দেশে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়েছে এতে অনেকেই খুশি না,আমিও না। কিন্তু তারপরও বলবো একটি গণতান্ত্রিক দেশে ৫ বছর পরপর অবাধ সুষ্ঠু ও নিরেপেক্ষ নির্বাচন দরকার। এখন সরকার হচ্ছে নির্বাচন কমিশন। তাদেরও যেন বোধোদয় হয়, তারা যেন প্রভাবমুক্ত নির্বাচন করে। যদি গত নির্বাচনের মতো নির্বাচন হয় তাহলে আওয়ামী লীগ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
এ সময় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের জেলা উপজেলাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।