লোহিত সাগরে একটি ইসরায়েলি পণ্যবাহী জাহাজ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। জাহাজটিতে ইসরায়েলি এক ব্যবসায়ীর অংশীদারত্ব রয়েছে।
হুতিরা জানিয়েছে, ফিলিস্তিনে আগ্রাসনের জবাবে তারা জাহাজটি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। তবে ইসরায়েল এটিকে ইরানের ‘সন্ত্রাসবাদী’ কর্মকাণ্ডের অংশ বলে দাবি করছে। জাহাজটি যুক্তরাজ্যের মালিকানাধীন। পরিচালনা করছে জাপান। এটির মালিকানায় ইসরায়েলি এক ব্যবসায়ীর অংশীদারত্ব রয়েছে। তুরস্ক থেকে ছেড়ে আসা জাহাজটি ভারতে যাওয়ার কথা ছিল।
হুতি বিদ্রোহীদের মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি এক বিবৃতিতে বলেন, তাদের যোদ্ধারা ওই জাহাজটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। জাহাজে থাকা নাবিকদের যাবতীয় নিরাপত্তা তারা দিচ্ছেন। বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, ফিলিস্তিনের গাজা ও পশ্চিম তীরে আমাদের ভাইদের ওপর চলা আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালিয়ে যাবো।
এদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় ও দেশটির সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে পৃথক বিবৃতি দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, নিয়ন্ত্রণে নেয়া জাহাজটির মালিকানা বা পরিচালনার সঙ্গে তেল আবিবের কোনো সম্পর্ক নেই। জাহাজটিতে থাকা ২৫ জন নাবিকের কেউই ইসরায়েলের নাগরিক নন। নাবিকরা ইউক্রেন, মেক্সিকো, ফিলিপাইন ও বুলগেরিয়াসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিক।
ইসরায়েল অভিযোগ করেছে, হুতিদের জাহাজ নিয়ন্ত্রণে নেয়ার পেছনে ইরানের হাত রয়েছে। ইরান বিশ্বের মুক্ত নাগরিকদের বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাসী’ কার্যক্রম চালাচ্ছে। তবে এই দাবির পাল্টা জবাবে ইরান বলেছে, জাহাজ নিয়ন্ত্রণে নেয়ার ঘটনার সঙ্গে তেহরান জড়িত নয়। কোনো ধরনের প্রমাণ ছাড়াই ইসরায়েল ঢালাওভাবে অভিযোগ তুলেছে।