নিজস্ব প্রতিবেদক: নাটোরে ৩৫ বছরের অজ্ঞাত এক নারীকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে স্বামী-স্ত্রীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সকালে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই রায় দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আনিছুর রহমান। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, নাটোর সদরের উলুপুর এলাকার মো. বেলাল হোসেন ও তার স্ত্রী মোছা. জোসনা খাতুন জেসমিন। রায়ের সময় জেসমিন আদালতে উপস্থিত থাকলেও ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়ছেন বেলাল।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ কৌঁসুলি আনিছুর রহমান নথির বর্ণনায় বলেন, ২০১০ সালের ১১ জানুয়ারি ট্রাকচালক বেলালের শ্বশুরবাড়ি সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের একটি আম বাগান থেকে অজ্ঞাত এক নারীর গলায় ওড়না পেচানো মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় মরদেহের বুকে নখের চিহ্ন ও ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়। নিহত ওই নারীর মরদেহের পাশ থেকে বেলালের স্ত্রী জেসমিনের ব্যাগ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় তৎকালীন সদর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক নুরুজ্জামান বাদী হয়ে বেলাল হোসেন ও তার স্ত্রী জোসনা খাতুন জেসমিনকে অভিযুক্ত করে নাটোর থানায় হত্যা ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এই ঘটনায় পুলিশ জেসমিনকে গ্রেপ্তার করলেও ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন বেলাল।
এক প্রশ্নের জবাবে ওই আইনজীবী বলেন, নিহতের পরিচয় তদন্তকারী কর্মকর্তা শনাক্ত করতে পারেনি। সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আদালত এই রায় দিয়েছেন।
রায়ের ধার্যকৃত জরিমানার টাকা কে পাবেন জানতে চাইলে নাটোর জেলা ও দায়রা জজ কোর্টের আইনজীবী আতিকুর রহমান বলেন, রায়ের জরিমানার টাকা সাধারণত ভুক্তভোগী ও ভুক্তভোগীর পরিবার পায়। কিন্ত জরিমানার টাকা কে পাবে উল্লেখ না থাকলে সে টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হবে।