আকস্মিকভাবেই মৃত এক ইস্যু জাগ্রত করলেন শাকিব খান। এমনিতেই সিনেমা ছাড়াও শাকিব খান-বুবলী ও অপু বিশ্বাসের নানা ইস্যুতে নাজেহাল মিডিয়া। বছরের শেষ মাসটাও শাকিব খান বুবলীকে নিয়ে মন্তব্য করে ফের উস্কে দিলেন তাদের ঘরোয়া উত্তাপ।
গত মাসে গানবাংলা টেলিভিশন চ্যানেলের কর্ণধার কৌশিক হাসান তাপসের সঙ্গে শবনম বুবলীর প্রেমের গুঞ্জন উঠে। তাপসের স্ত্রী ফারজানা মুন্নি এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে এটা জানান। এরপর তার আর অপু বিশ্বাসের একটি কলরেকর্ড ফাঁস হয়। সেই কথোপকথনের বিষয়বস্তু ছিল তাপস-বুবলীর প্রেম। সে সময় ভারতে বারানসিতে প্যানইন্ডিয়ান সিনেমা ‘দরদ’র শুটিং করছিলেন শাকিব খান। কাজের ব্যস্ততার মাঝেও তিনি শুনেছেন এসব ঘটনা। কিন্তু তখন মুখ খোলেননি। তবে দেশে ফেরার সপ্তাহ খানেক পর এ নিয়ে কথা মুখ খুললেন। একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের সঙ্গে আলাপনে কথা না বলতে চেয়েও বলে দিলেন বহুকিছু।
শাকিব খান বলেন, ‘কথাগুলো বলতে চাই না। বললেও আমার নিজের কাছে নিজেকে খুব লজ্জিত মনে করব। অপমানিত মনে করব। মুন্নী ভাবিকে আমি যত স্ট্রং পারসোনালিটির মানুষ হিসেবে দেখেছি, তার মতো মানুষকে আমি এত অসহায়ভাবে আশা করিনি। আর এমন একটা মানুষকে নিয়ে কথা, যার সঙ্গে একটা সময় আমার সম্পর্ক ছিল। মুন্নী ভাবির অডিও আমি শুনেছি এবং আমাকেও যা বলেছেন, এটা আমি আশা করিনি। কখন কার রূপ যে মিডিয়াতে চেঞ্জ হয়, বলা যায় না। এনিওয়ে, এটা আমার কোনো ম্যাটার না। এই ব্যাপারে আমি জড়াতেও চাই না।’
শাকিব জানান, তার জীবনে বুবলীর কোনো অস্তিত্ব নেই। তাই তার বিষয়ে অনধিকার চর্চা করতে চান না। তিনি বলেন, ‘আমার জীবনে যে মানুষের কোনো অস্তিত্ব নেই, তাকে (বুবলী) নিয়ে আমি কথা বলতেই চাই না। যার সঙ্গে আমার সম্পর্ক নেই, তাকে নিয়ে অনধিকার চর্চা কেন করতে যাব! আমার তো কোনো দরকার নেই। অনেকে হয়ত মনে করছে, আমার সঙ্গে তার (বুবলী) কিছু একটা সম্পর্ক আছে। শাকিবকে বললে হয়ত এর কোনো সলিউশন হবে। হয়ত কোনো হোপ নিয়ে বলেছে। কিন্তু আমি বলেছি, আমার লাইফে তো এই ভদ্রমহিলার কোনো অস্তিত্ব নাই। তার ব্যাপারে আমাকে বলে কোনো লাভ নাই।’
এর আগেও অনেকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন বলে জানালেন শাকিব। সেজন্য তাকে সাবধানও করেছিলেন কয়েকবার। এমনকি কিছু ক্ষেত্রে দোষ নিজের কাঁধেও নিয়ে চুপ করে ছিলেন। শাকিবের কথায়, ‘তার তো এর আগেও অনেক স্ক্যান্ডাল শুনেছি। এই স্ক্যান্ডালটা তো তাপসের ওয়াইফ নিজে বললেন। সেটার অডিও আমরা সবাই শুনলাম। আমারটা আমি না-ই বললাম। আর ওইগুলো (স্ক্যান্ডাল) হয়ত তাদের ওয়াইফরা বলেননি বা এতটা ছড়ানোর আগে অনেক ঘটনা ঘটিয়েছেন, যে কারণে ছড়ায়নি। এই ঘটনাগুলোয় আমি অনেক কিছু আমার ঘাড়ে নিয়েছি। আমার ওপর দিয়ে দোষ গেছে, আমি চুপ করে বসে ছিলাম। তাদের বিরুদ্ধে কখনও কিছু বলতে চাইনি। আজও বলছি না। কাউকে বলছি না যে, তাপসের বউ আমাকে কী বলেছেন!’
বুবলীকে তিনি চিনতে পারেননি শাকিব। তার কথায়, ‘আমি আসলে বরাবরই মানুষ চিনতে ভুল করেছি। বিশেষ করে দ্বিতীয়বার (বুবলীকে বিয়ে) আমি মানুষ চিনতে ভুল করেছি। মানুষের বাহ্যিক আচরণ দেখে তাকে জাজ করা মুশকিল। সিনেমাতে যেমন দেখা যায়, যাকে চিন্তাই করতে পারি না যে তিনি ক্রিমিনাল হতে পারে। পরে দেখা যায়, তিনি সবচাইতে বড় ক্রিমিনাল।’
তিনি আরও বলেন, ‘যেটুকু জীবন আমি নষ্ট করেছি। আমার মূর্খতা আর ভুলের কারণে আমার পরিবার অসম্মানিত হয়েছে, ফ্যানসরা অস্মানিত হয়েছে। আমি তাদের বলে বোঝাতে পারিনি যে, এখানে আমার দোষ কতটুকু! কীভাবে বোঝাব! খালি চোখে দেখা যাচ্ছিল, আমি ক্রিমিনাল। কিন্তু এখন তো সবাই বুঝে গেছেন, কে ক্রিমিনাল!
২০১৮ সালের ২০ জুলাই বুবলীকে গোপনে বিয়ে করেন শাকিব খান। এরপর ২০২০ সালের ২১ মার্চ জন্ম হয় তাদের সন্তান শেহজাদ খান বীরের। সন্তান জন্মের আগে বুবলী আড়ালে চলে যান।